তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর পেরিয়ে গেছে ৬ দিন। সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্যোগকবলিত এলাকায় বাড়ছে সহিংসতা ও অপরাধপ্রবণতা। উদ্ধারকারীরা সতর্ক করেছেন, এমনটা চলতে থাকলে চাপাপড়াদের জীবিত উদ্ধারের কোনো সম্ভাবনাই আর থাকবে না। অজ্ঞাতনামা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহিংসতার কারণে জার্মান উদ্ধারকর্মী এবং অস্ট্রিয়ার সেনাসদস্যরা তাদের তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছেন।
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। ভূমিকম্পের পর ছয় দিন পেরিয়ে যাওয়ায় আরও ক্ষীণ হয়েছে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা। বিভিন্ন দেশের সহায়তায় চলছে উদ্ধার অভিযান। অলৌকিকভাবে জীবিত উদ্ধারও হচ্ছে কেউ কেউ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলায় কঠিন হয়ে পড়েছে লাশ দাফন। তুরস্ক-সিরিয়া দুই দেশেই ব্যবস্থা করা হয়েছে গণকবরের। ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়ারা ভিড় করছেন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে। সেখানেও খাবার ও পানির তীব্র সংকট। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার তত্ত্বাবধানে চলছে ত্রাণ তৎপরতা। তুর্কি প্রশাসন বলছে, দেশটিতে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি ভবন। সিরিয়ার বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় এখনও উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ পৌঁছানো নিয়ে রয়ে গেছে জটিলতা।