তিনদফা দাবিতে জ্বালানি উত্তোলন ও পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট
- আপডেট সময় : ০১:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৬৪৭ বার পড়া হয়েছে
তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে খুলনায় পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সকাল ৮টায় শুরু হয় ধর্মঘট।
তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমিশন, ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর এবং ব্যবসায়ীদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা। বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক সমিতি এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এতে এই বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের চার জেলায় তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
পেট্রোল পাম্প মালিকদের ডাকা ধর্মঘটে তেল উত্তোলন ও বিক্রয় বন্ধ রেখেছে চট্টগ্রামের অধিকাংশ পেট্রোল পাম্প। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে কয়েকটি পাম্পে তেল বিক্রি করতে দেখা গেলেও তারা বলেন–মজুদ তেল বিক্রি করা হচ্ছে, নতুন করে তেল তোলা হচ্ছেনা। পাম্প মালিকরা জানান, তেলের দাম ৮০ টাকা লিটার থাকা অবস্থায় যে কমিশন ছিলো এখনো তাই আছে। গত ৬ মাসে ৫০ শতাংশ দাম বাড়ানো হলেও কমিশন বাড়ানো হয়নি।
দিনাজপুরের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পেও তেল বিক্রি বন্ধ। পাম্পে তেল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন যানবাহন চালকরা। তেল সংকটে বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। স্থানীয় পাম্প মালিক এসোসিয়েশন জানান, দীর্ঘদিনের তিন দফা দাবি আমলে নিচ্ছে না সরকার।ফলে বাধ্য হয়েই তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জেও। এখানকার চারটি ডিপো থেকে বিমানে ব্যবহৃত ১৫০টির জেট ফুয়েলসহ প্রতিদিন পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, কেরাসিন ও ফার্নিস অয়েলের ৮শ’ গাড়ি জ্বালানী ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়।