রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় অনেকটা প্রকাশ্যেই ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি। দিনের আলোতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রাতের আধারে বেপরোয়া তারা । রাজধানীর এই অন্যতম প্রবেশদ্বার দিয়ে কোন ট্রাক-পিকাপ, কিংবা কাভার্ড ভ্যান প্রবেশ করতে হলে ট্রাফিক পুলিশকে দিতে হয় চাঁদা। এসএ টিভির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন চিত্র ।
সন্ধ্যা হলেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ডেমরা থানার স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় অনেকটা প্রকাশ্যেই চলে পুলিশের চাঁদাবাজী।
এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে এস এ টিভির অনুসন্ধানী টিমের যাত্রা। টানা তিন দিনের অনুসন্ধানে উঠে আসে পুলিশের নানা অনিয়মের চিত্র। রাত ……আগে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান সহ ভাড়ি যানবাহন রাজধানীতে ঢোকার অনুমোদন না থাকলেও এই পয়েন্ট দিয়ে সন্ধ্যার পর থেকেই টাকার বিনিময় ঢুকতে দেখা যায় এসব যানবাহন। যার ফলে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। স্থানীয়দের অভিযোগ, টাকা তুলতে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করে অসাধু পুলিশ কর্মকর্তারা। এরপর রাত যতই গভীর হয় ততই বেপরোয়া হয়ে উঠে ট্রফিক পুলিশ সদস্যরা।
এভাবেই প্রতিটি ট্রাক থামিয়ে টাকা তোলা হয়।প্রতিটি যানবাহন থেকে তোলা হয় ১০০ থেকে ২০০ টাকা। আবার অনেক পরিবহন মালিক রয়েছে যারা পুরো মাসের টাকা একবারে দেন পুলিশকে। অসাধু পুলিশ সদস্যদের এমন চাঁদাবাজির চিত্র গোপনে ধারন করা হয়।পরে এসএ টিভির অনুসন্ধানী টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে এভাবেই সটকে পরে অসাধু ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
পরিবহন শ্রমিকরা বলছে, এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হলে পুলিশকে দিতে হয় চাঁদা।আর না দিলে পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে জানতে চাইলে, অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।