ডিএমপি’র পুলিশ কনস্টবলের বিরুদ্ধে অটোরিক্সার ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৮০৬ বার পড়া হয়েছে
আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে রাজধানীতে বেটারীচালিত অটোরিক্সার ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে ডিএমপি’র এক পুলিশ কনেস্টবলের বিরুদ্ধে। এতেই শেষ নয়, চোরাই রিক্সার সন্ধানও পাওয়া গেছে তার গ্যারেজে। এতে তিনি মালিক বনে গেছেন অর্ধকোটি টাকারও। এ নিয়ে এলাকার অন্যান্য গ্যারেজ মালিকদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, আইনের লোকই বে-আইনী কাজ করছেন। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বলছেন, অন্যরা যেভাবে সড়কে অটোরিক্সা চালায়, তিনি তাদের মতোই ব্যবসা করছেন। আর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
রাজধানীর খিলগাও, বাসাবো, মুগদা, মান্ডা, বৌদ্ধ মন্দির, মাদারটেক ও বনশ্রী এলাকায় রিক্সার আড়ালে রমরমা বাণিজ্য চলছে অননুমোদিত বেটারী চালিত অটোরিক্সার। বহু আগ থেকেই এলাকাটির অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্যা রিক্সা গ্যারেজ, এখন সেখানে রয়েছে অটোরিক্সার সমাহারও। স্থানীয় প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশীন দলের নেতাকর্মীদের মদদে এসব অননুমোদিত রিক্সা সড়কে চলাচল করলেও এবার অবৈধ এমন কর্মকান্ডের মূলেই উঠে এসেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের নাম।
ডিএমপির খিলক্ষেত থানায় কর্মরত কনেস্ট্রবল আব্দুর রহিম খিঁলগাওয়ের বাসাবো এলাকার দক্ষিণ রাজারবাগ দরবার গলিতে বেটারী চালিত অটো রিক্সার গ্যারেজ দিয়ে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। ইতোমধ্যে মালিক বনে গেছেন ৭৪ টি বেটারী চালিত রিক্সারও। কয়েক মাস আগে চোরাই রিক্সার সন্ধান পাওয়া গেছে তার গ্যারেজে- এমন দাবি করেন তার মিস্ত্রী ওবায়দুলসহ অনেকেই। এ নিয়ে বাসাবো থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবি, দিনমজুরের কাজ করছেন একজন পুলিশের সদস্য, তাই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিচ্ছেন না তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও।
একজন কনেস্ট্রবলের আয় কত? বিভাবে এতো রিক্সার মালিক বনে গেছেন তা জানতে আব্দুর রহিমের গ্যারেজে তার খোঁজ চাইলে, সুবিধাভোগীরা ছাফাই গাইলেন তার পক্ষে। গণমাধ্যমের উপস্থিতির খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আসেন তার স্ত্রী। তিনিও এসবের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন ভিন্ন আঙ্গিকে। ঘিঞ্জী এলাকায় বেটারী চালিত অটো রিক্সার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সিটি কর্পোরেশন অভিযান পরিচালিত হলেও আব্দুর রহিমের গ্যারেজে অভিযান চালায়নি আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থাও।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর সংস্থার সদস্যের বিরুদ্ধে আইন অমাণ্যের উত্তর দিতে পারেন আব্দুর রহিম নিজেই। বলছেন, আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অন্যরা যেভাবে বেটারী চালিত অটো রিক্সার চালান, তিনিও সেভাবে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন বলেন জানান।
মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুজ্জামান খানের কাছে, অননুমোদিত বেটারী চালিত রিক্সার চলাচলার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি এর দায় চাপান ট্রাফিক পুলিশের ওপরে। প্রচুর অর্থ বিত্তের মালিক হওয়ার পেছনের রহস্য জানতে তার উর্ধ্বতন কর্মকতার ওপরে। রক্ষক যখন ভক্ষকে রূপ নেয়, তখন ন্যায়বিচার থেকে ভুক্তভোগীরা বঞ্চিত হয় বলে মনে করেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।