ডলার সংকট আর মূল্যস্ফীতির সুযোগে সুদিন ফিরছে সরিষার
- আপডেট সময় : ০৩:০১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৬৮৯ বার পড়া হয়েছে
ভোজ্যতেল হিসেবে একসময় দেশের ঘরে ঘরে অত্যাবশ্যকীয় উৎস ছিলো সরিষা। আমদানী করা পাম-সয়াবিনের দাপটে সরিষার তেল পিছিয়ে পড়লেও, মূল্যস্ফীতির সুযোগে আবার সুদিন ফিরতে শুরু করেছে সরিষার। আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে বাড়তি ফসল হিসেবে এবার ব্যাপক সরিষার চাষ করেছেন উত্তরের জেলা নীলফামারীর কৃষকরা। ডলার সংকটে আমদানী কমাতে আগামী তিন বছরের মধ্যে বার্ষিক ২৪ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদার অন্তত ৪০ শতাংশ- দেশী সরিষা দিয়ে মেটানোর পদক্ষেপ নিয়েছে কৃষি বিভাগ।
গেলো বছর তিন বিঘা জমিতে চাষ হলেও এবার ১৪ বিঘায় সরিষার চাষ করেছেন আব্দুর রশীদ। নীলফামারীর কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের কাছারীপাড়া গ্রামের শত কৃষকের গল্পটা এমনই। রশীদের মতো এই গ্রামের ১১৪ জন কৃষক তিন’শ বিঘা জমিতে করেছেন সরিষার চাষ।
দিগন্ত জোড়া সরিষার মাঠ। হলুদ আর সবুজের মিশেলে সৃষ্টি হয়েছে নয়নাভিরাম পরিবেশের। আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষার চাষ করেছেন নীলফামারীর কৃষকরা। নিজেদের চাষকৃত সরিষা থেকে ভোজ্য তেলের নিজেদের চাহিদা পূরণ করছেন এখানকার কৃষকরা।
চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশ সয়াবিন তেল আমদানী করতে বছরে বিপুল পরিমান অর্থ চলে যায় বিদেশে। তাই সয়াবিন তেলের নির্ভরতা কমাতে কৃষকদের নানা ভাবে সহযোগিতা করেছে কৃষি বিভাগ।
মাটিতে জৈব সারের উপস্থিতি বৃদ্ধির মাধ্যমে মাটির স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য রক্ষায় সরিষার গুরুত্ব রয়েছে বলে জানালেন কৃষি বিভাগের শীর্ষ এই কর্মকর্তা।
জেলায় এবার ৬ হাজার ৭৭৭ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। যেখান থেকে ৯ হাজার ১০০ মেট্রিকটন তেল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা কৃষি বিভাগের।