টানা শীত আর ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ
- আপডেট সময় : ০১:২৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
টানা শীত আর ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। জীবীকার তাগিদে ভোর থেকেই তীব্র শীত আর কুয়াশা উপেক্ষা করে কর্মস্থলে ছুটছে খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে, শীতের প্রকোপে লালমনিরহাট, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় ঠাণ্ডা জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গত কয়েকদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। সোমবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীতের তীব্রতা সকালে মিষ্টি রোদ আলো ছড়ালেও জনজীবনে উষ্ণতা দিতে পারছে না।
লালমনিরহাটে ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসে তাপমাত্রা নেমেছে ৭ দশমিক ২
ডিগ্রী সেলসিয়াসে। শীতের প্রকোপে জেলাজুড়ে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। গেল ২৪ ঘণ্টায় জেলা সদর হাসপাতালে ১৫ ডায়রিয়া ও ৬ জন নিউমেনিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি হয়েছে।
উত্তরের জনপদ পাবনায় হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সূর্ষের দেখা মিললেও কমছে না শীতের তীব্রতা। পাবনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুই সপ্তাহের টানা শৈত্যপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গার ১৩ লাখ মানুষ জবুথবু হয়ে পড়েছে। তীব্র শীত আর হিমেল বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
ময়মনসিংহে টানা শীত আর ঘন কুয়াশায় বেড়েই চলেছে দুর্ভোগ। দুপুরের দিকে কয়েকঘণ্টা সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড কুয়াশা আর শীতে ঢাকা পড়ছে চারপাশ।
নড়াইলে কনকনে শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে অসহায় ও গরীব মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। আগুন জ্বেল অনেকে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
দুই সপ্তাহের শৈত্য প্রবাহে ভুগছে কুড়িগ্রামের মানুষ। সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সাতক্ষীরায় শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র বাতাস ও শীতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর,সর্দি ও কাশিসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।