ঝিনাইদহে বেড়েছে শিশুদের নিউমোনিয়া, জ্বরসহ শ্বাসতন্ত্রের রোগের প্রকোপ। প্রতিদিন সদর হাসপাতাল গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালে শয্যা আর জনবল সংকটে বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। হাসপাতালের কক্ষগুলেরা মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন নতুন করে শিশু ভর্তি হওয়ায় দিন দিন এ সমস্যা বেড়েই চলেছে। হাসপাতালে যত শিশু রোগী ভর্তি আছে তার বেশিরভাগই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসকরা জানান, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
প্রতিদিন হাসপাতালে নতুন করে ৩০ থেকে ৩৫ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। ৮ বেডের হাসপাতালে স্থানীয়ভাবে আরও ৭০ টি বেড ব্যবস্থা করা হলেও অতিরিক্ত চাপে মেঝেতে থাকতে হচ্ছে অনেককে। শুধু সদর হাসপাতাল নয়, সরকারি শিশু হাসপাতালসহ স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
কম সংখ্যক জনবল নিয়ে এত রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্সরাও।
শিশুকে রোগ প্রতিরোধে অভিভাবকদের সচেতন থাকার পরামর্শ চিকিৎসদের।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে, গত দেড় মাসে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াতে অন্তত ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।