জার্মানিতে শিশুর মৃত্যুরহস্য সমাধানে ইন্টারপোল
- আপডেট সময় : ১০:৩৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৭৮৯ বার পড়া হয়েছে
দানিয়ুব নদীতে ভেসে এসেছিল ওই শিশুর দেহ। ব্ল্যাক নোটিস জারি করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে ইন্টারপোল।
২০২২ সালে বাভারিয়া থেকে এক শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত সেই ঘটনার তদন্ত শেষ হয়নি। শিশুটির পরিচয় পর্যন্ত জানা যায়নি। এবার সেই রহস্যের সমাধানে জার্মান পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতায় নেমেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল। শিশুটির একটি ছবি প্রকাশ করেছে তারা। তার ওজন, শরীরের বর্ণনা দেওয়া ওই নোটিস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কেউ ওই শিশুর পরিচয় জানলে যেন সরাসরি ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
২০২২ সালের ১৯ মে দক্ষিণ পূর্ব বাভারিয়া থেকে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়। দানিয়ুব নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই শিশুকে। একটি স্ল্যাবের সঙ্গে বেঁধে তাকে ভাসানো হয়েছিল। ইন্টারপোল যে নোটিস জারি করেছে, তাতে বলা হয়েছে, শিশুটির বয়স পাঁচ থেকে ছয়। ওজন ১৫ কেজির আশপাশে। মাথার চুল খয়েরি। সঙ্গে একটি গ্রাফিক্সও ছাপা হয়েছে। যেখানে শিশুটির মুখের আদল দেওয়া আছে। ১৯৫টি দেশে ইন্টারপোল কাজ করে। প্রতিটি দেশেই এই নোটিস পাঠানো হয়েছে।
ইন্টারপোলের বক্তব্য, ওই ঘটনার সঙ্গে নাশকতামূলক কোনো অপরাধও জড়িয়ে থাকতে পারে। কেন, কীভাবে কোথায় শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছিল, তাকে ওইভাবে নদীতে ভাসিয়েই বা দেওয়া হলো কেন, এই বিষয়গুলি তদন্তের মূল প্রশ্ন হিসেবে রাখা হয়েছে। জার্মানির বিভিন্ন প্রদেশে এবং আশপাশের দেশের পুলিশকে বলা হয়েছে, সমাধান না হওয়া মামলাগুলি নতুন করে খুলে দেখতে। বস্তুত, শিশুটির শরীর কতদিন জলে ছিল, তা-ও এখনো পরিষ্কার নয়।
জার্মানির ওই ঘটনা সে সময় রীতিমতো চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছিল। ইন্টারপোল মামলাটি হাতে নেওয়ায় তা নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। পুলিশের একাংশের সন্দেহ, ওই শিশুটিকে পাচার করা হচ্ছিল। তবে এবিষয়েও নির্দিষ্ট কোনো তথ্য এখনো ইন্টারপোলের হাতে আসেনি।
ডয়চে ভেলে