জামালপুরের যমুনা নদীর ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়েছে লক্ষাধিক পরিবার। গেল কয়েক দিনে জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধে ধ্বস নেমেছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
উজানের ঢলে গেলো সপ্তাহ থেকে পানি বাড়ছে যমুনায়। ধস দেখা দিয়েছে জেলার ইসলামপুরের যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধে। কুলকান্দি হার্ডপয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ডপয়েন্টর মাঝামাঝি ৯০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ বহু স্থাপনা।
প্রতিরোধে জরুরীভাবে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত জলবায়ুর জেরে ভাঙছে নদনদী। ভাঙন রোধে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
যমুনার ভাঙ্গন প্রতিরোধে ২০১০ সালে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ফুটানী বাজার থেকে সরিষাবাড়ি উপজেলার পিংনা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৬ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ব্যয় হয় ৪৫৫ কোটি টাকা। কাজ শেষ হয় সাতবছর পর ২০১৭ সালে।