জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া অভিবাসীদের দায়িত্ব বিশ্বকে অবশ্যই ভাগ করে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিকে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুতর হুমকি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ওপর বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রস্তাবও দেন বাংলাদেশ সরকার প্রধান।
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলয় স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে স্কটিশ পার্লামেন্টে পৌঁছালে স্পিকার অ্যালিসন জনস্টোন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। ‘কল ফর ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগদেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা ও সিভিএফ দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেনও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর কার্বন নি:স্বরনের ফলে বাংলাদেশসহ গরীব রাষ্ট্রগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। মোকাবেলায় ধনী দেশগুলোকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের জলবায়ু বাস্তুচ্যুত ৬০ লাখ মানুষের সঙ্গে আরো অতিরিক্ত ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক এখন বোঝা হিসেবে যোগ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাশ্রয়ী মূল্যে সবুজ প্রযুক্তির প্রসারের পাশাপাশি মুজিব জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বিশ্ব নেতাদের অহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
এছাড়া, উচ্চাভিলাষী প্রভাব প্রশমন প্রয়াস ছাড়া, শুধুমাত্র অভিযোজন ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবগুলোকে ধীর, বন্ধ এবং পাল্টানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলেও মত দেন সরকার প্রধান।