০৯:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

জরুরী ডাকবাহী গাড়ি আটকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে ফরেস্ট বিটের দুই বন কর্মকর্তা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৫৭৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দেশের শীর্ষ স্থানীয় কুরিয়ার ও পার্শ্বেল সার্ভিস- এসএ পরিবহনের জরুরী ডাকবাহী গাড়ি আটকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে কুমিল্লার সুয়াগাজি ফরেস্ট বিটের দুই বন কর্মকর্তা। চাঁদা না পেয়ে গ্রাহকদের জরুরি ডাক ডকুমেন্ট ও পার্শ্বেলসহ গাড়িটির বিরুদ্ধে এখন মিথ্যা মামলা দায়েরের অপচেষ্টা চলছে। এসএ পরিবহনের কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মহাসড়কের ওপর গাড়ি আটকে অবৈধ চাঁদার দাবিতে নজিরবিহীন হয়রানী ও হুমকি দিচ্ছে বন বিভাগের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম। বিষয়টি নিয়ে বন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার পাননি বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

এসএ পরিবহনের চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ ও কর্নেলহাট অফিস থেকে প্রতিদিনের মতো গ্রাহকের জরুরী ডাক ডকুমেন্ট ও পার্শ্বেল নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় একটি কাভার্ডভান। পথের মধ্যে ঢাকা চট্টগ্রাম মহগাসড়কের কুমিল্লার সুয়াগাজী ফরেস্টবিটের সামনে গাড়িটির গতিরোধ করে বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

এসময় জরুরী ডাকবাহী গাড়ি মহাসড়কে থামানো যাবে না উচ্চ আদালতের এমন নির্দেশনা উপেক্ষা করে গাড়িটিতে কাঠের ফার্নিচার আছে উল্লেখ করে ফরেস্ট বিটের ভেতরে নিয়ে যায় সহকারী স্টেশন অফিসার কামরুল ইসলাম, ফরেস্ট গার্ড আব্দুস সালাম ও তাদের সহযোগী জসিম উদ্দিন।

পরে এসএ পরিবহনের কর্মকর্তারা ফার্নিচারের চালানসহ বৈধ ডকুমেন্ট নিয়ে বিট অফিসে গেলে চরম দুব্যাবহার করেন বন কর্মকর্তারা।
একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করেন তারা।

এসএপরিবহনের দাবি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এমন অবৈধ চাঁদাবাজির বিষয়টি কুমিল্লা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীসহ বন সংরক্ষক অধিদফতরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অবগত করেও বিচার পাননি তারা। উল্টো দিনভর নানান নাটকিয়তা শেষে সন্ধ্যায় আরো ৪০ হাজার টাকা অবৈধ জরিমানা আদায় করার চেষ্টা করে এস এ পরিবহনের কাছ থেকে।

চাঁদা না পেয়ে শত শত গ্রাহকের জরুরী ডাক ডকুমেন্ট ও পার্শ্বেল ভর্তি গাড়িটি বন বিভাগের অফিসে আটকে রেখে এখন মিথ্যা মামলা দায়ের করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বন কর্মকর্তারা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জরুরী ডাকবাহী গাড়ি আটকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে ফরেস্ট বিটের দুই বন কর্মকর্তা

আপডেট সময় : ০৪:১৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

 

দেশের শীর্ষ স্থানীয় কুরিয়ার ও পার্শ্বেল সার্ভিস- এসএ পরিবহনের জরুরী ডাকবাহী গাড়ি আটকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে কুমিল্লার সুয়াগাজি ফরেস্ট বিটের দুই বন কর্মকর্তা। চাঁদা না পেয়ে গ্রাহকদের জরুরি ডাক ডকুমেন্ট ও পার্শ্বেলসহ গাড়িটির বিরুদ্ধে এখন মিথ্যা মামলা দায়েরের অপচেষ্টা চলছে। এসএ পরিবহনের কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মহাসড়কের ওপর গাড়ি আটকে অবৈধ চাঁদার দাবিতে নজিরবিহীন হয়রানী ও হুমকি দিচ্ছে বন বিভাগের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম। বিষয়টি নিয়ে বন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার পাননি বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

এসএ পরিবহনের চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ ও কর্নেলহাট অফিস থেকে প্রতিদিনের মতো গ্রাহকের জরুরী ডাক ডকুমেন্ট ও পার্শ্বেল নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় একটি কাভার্ডভান। পথের মধ্যে ঢাকা চট্টগ্রাম মহগাসড়কের কুমিল্লার সুয়াগাজী ফরেস্টবিটের সামনে গাড়িটির গতিরোধ করে বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

এসময় জরুরী ডাকবাহী গাড়ি মহাসড়কে থামানো যাবে না উচ্চ আদালতের এমন নির্দেশনা উপেক্ষা করে গাড়িটিতে কাঠের ফার্নিচার আছে উল্লেখ করে ফরেস্ট বিটের ভেতরে নিয়ে যায় সহকারী স্টেশন অফিসার কামরুল ইসলাম, ফরেস্ট গার্ড আব্দুস সালাম ও তাদের সহযোগী জসিম উদ্দিন।

পরে এসএ পরিবহনের কর্মকর্তারা ফার্নিচারের চালানসহ বৈধ ডকুমেন্ট নিয়ে বিট অফিসে গেলে চরম দুব্যাবহার করেন বন কর্মকর্তারা।
একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করেন তারা।

এসএপরিবহনের দাবি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এমন অবৈধ চাঁদাবাজির বিষয়টি কুমিল্লা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীসহ বন সংরক্ষক অধিদফতরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অবগত করেও বিচার পাননি তারা। উল্টো দিনভর নানান নাটকিয়তা শেষে সন্ধ্যায় আরো ৪০ হাজার টাকা অবৈধ জরিমানা আদায় করার চেষ্টা করে এস এ পরিবহনের কাছ থেকে।

চাঁদা না পেয়ে শত শত গ্রাহকের জরুরী ডাক ডকুমেন্ট ও পার্শ্বেল ভর্তি গাড়িটি বন বিভাগের অফিসে আটকে রেখে এখন মিথ্যা মামলা দায়ের করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বন কর্মকর্তারা।