চার বছর পেরিয়ে গেলেও, শেষ হয়নি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আধুনিক ভবনের নির্মাণ কাজ। অথচ, শেষ করার কথা ছিল ১৮ মাসে। অর্ধশত কোটি টাকার কাজ শুরু থেকেই চলছে কচ্ছপ গতিতে। নানা অজুহাত কাজ ঝুলিয়ে দিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও গণপূর্ত বিভাগ।
ঝালকাঠি ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণকাজ চার বছর আগে শুরু হলেও শেষ হয়নি। দুই দফায় নকশা বদলে ভবনটি ছয়তলা থেকে নয় তলার অনুমোদন পেয়েছে। নির্মাণ ব্যয় শুরুতে ৩৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা থাকলেও দ্বিতীয় দফায় তা বেড়ে ৪০ কোটি টাকা করা হয়। আর তৃতীয় দফায় ব্যয় আরও ৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বাড়ে।
প্রথমে প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। বর্ধিত মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। এখনো নির্মাণসহ সাজসজ্জার অধিকাংশ কাজ বাকি। শুরু থেকেই নির্মাণকাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। নানা অজুহাতে কয়েক দফায় কাজ বন্ধও রাখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
প্রথম ধাপের কাজের ৩৫ কোটি টাকা বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু লিফট ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত ভেতরের দরজা, জানালা, ইলেকট্রিক ও পানির লাইন স্থাপন, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাসহ অধিকাংশ কাজই বাকি।অষ্টম তলার ছাদ ঢালাই হলেও নবম তলার পুরো কাজই বাকি।
কাজের ধীর গতিতে ভুক্তভোগী রোগী ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জি এম কনস্ট্রাকশন কথা বলতে নারাজ। তবে করোনা, অর্থায়নে বিলম্ব আর দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারনে কাজ দেরি হচ্ছে বলে দাবি করেছে আরেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, ৩০ জুন মেয়াদ শেষের আগে যাবতীয় কাজ শেষ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
নতুন করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়বে না জানিয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে হবে।