করোনার ধাক্কা কাটিয়ে দু’বছর পর চট্টগ্রামে বস্তির দরিদ্র মানুষের মাঝেও ফিরেছে ঈদের আনন্দ। তবে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিসহ নানা কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।
চট্টগ্রামের কলাবাগান বস্তির বাসিন্দা জাহানারা বাসা-বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন। মহামারিতে কাজ হারিয়ে ছোট্ট এই টং দোকান দেন তিনি। বস্তিবাসীরাই এই দোকানের কাষ্টমার। বেচাকেনা ভালো হওয়ায় ঈদ এসেছে জাহানারার ঘরে।
একই বস্তির খুপরি ঘরে থাকা পরিচ্ছন্ন কর্মী ইউনুস তিন বছর আগে প্যারালাইজডে বেকার হয়ে যান। করোনাকালে ঈদে কারো সহায়তা না পেলেও এবার পেয়েছেন।
এ রকম চিত্র এই বস্তির প্রতিটি ঘরেই। করোনার পর জীবন স্বাভাবিক হবে এমন আশাও ছেড়ে দেন অনেকে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন।
দামি খেলনা নেয়া কিম্বা বড় বড় বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে যেতে না পারলেও নিজেদের বসত ভিটার আঙ্গিনায় ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে উচ্ছাসে মেতে ওঠে বস্তির শিশুরাও।
শুধু কলাবাগান বস্তিই নয়, ঝাউতলা রেলওয়ে বস্তি, ষোলশহর, টাইগারপাস, ছলিমপুর, আরফিনগরসহ নগরীর প্রতিটি বস্তিতেই আগের দুই বছরের চেয়ে ভাল ঈদ কাটালেও দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই।