পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। পাকিস্তান থেকে আসা হুজুর কেবলা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহের নেতৃত্বে এই জুলুসে অন্তত ৭০ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছে জানিয়েছেন আয়োজকরা। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তিন বছর পর স্বারম্বরে পালিত হলো জশনে জুলুস। এতে অংশ নেয়া ধর্মপ্রাণ মানুষেরা জানান, বিশ্বনবীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তারই জন্মদিনে শান্তী ও অসাম্প্রদায়িক পৃথিবী নির্মাণের লক্ষ্য অর্জনই তাদের প্রত্যাশা।
চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আশা নবীভক্ত লাখো মানুষ অবস্থান নেন বন্দর নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে। কেউ কেউ ওঠেন ভবনের ছাদে কিম্বা ফ্লাইওভারের ওপরে। বলেন মহানবীর জন্মদিন উদযাপন করতেই এসেছেন তারা। ষোলশহর আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের মাদ্রাসা থেকে আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ বের হলে নানান ধর্মীয় স্লোগানে আশপাশ মুখরিত করে রাখেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা।
সময়ের সাথে বাড়তে থাকে জুলুসের আকার। অংশ নেয়া সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বিশ্বব্যাপী যে অস্থিরতা তা কেটে যাবে অচিরেই।
জুলুস শুরুর আগে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত হয়। বক্তব্য রাখেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ।
আয়োজকরা জানান, এবারের জুলুসে অন্তত ৭০ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। সেই রেকর্ড গিনেজ বুকে স্থান করে নেবে, প্রত্যাশা তাদের।
রেলিটি মুরাদপুর থেকে চকবাজার, কাজির দেউরী, ওয়াসা, জিইসি, ষোলশহর হয়ে ফের মুরাদপুরে শেষ হয়।
আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর এই জুলুসের আয়োজন করে। যা এখন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে।