ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’ ট্র্যাজেডির ১৬ বছর আজ
- আপডেট সময় : ০৬:৩৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
- / ১৯৮৫ বার পড়া হয়েছে
“ঘূর্ণিঝড় সিডর” ট্র্যাজেডির ১৬ বছর আজ। ২০০৭ সালের এই দিনে আঘাত হানে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। বেশ কয়েকটি জেলাকে লন্ড-ভন্ড করে দেয়ার সাথে সাথে হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় ঘূর্ণিঝড়টি। ভয়াল সিডরের ১৬ বছর পেরুলেও বরগুনার অপেক্ষাকৃত দূর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ গুলো এখনও সংস্কার হয়নি। নির্মিত হয়নি পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র। তবে জেলা প্রশাসনের দাবী বেঁড়িবাধ নির্মাণ ও আশ্রয় কেন্দ্র বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।
১৫ নভেম্বর ২০০৭। রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে প্রচন্ড বেগে উপকূলে আঘাত হানে স্মরনকালের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সিডর। মাত্র আধঘন্টার তান্ডবে লন্ডভন্ড হয় উপকুল। প্রবল তোড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে চেনা জনপদে। মুহুর্তে ওই এলাকা পরিণত হয় অচেনা এক ধ্বংসস্তুপে।
সরকারী হিসেব উনুযায়ী উপকূলীয় জেলা বরগুনার ১ হাজার ৩৪৫ জন মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এখনও নিখোঁজ ১শ’ ৫৬ জন। তবে বে-সরকারী হিসেবে নিহতের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার, আহতের সংখ্যা ২৮ হাজার ৫০জন।
সিডরের সেই জের এখনো বয়ে চলেছে এ উপকূলবাসী। আমাবস্যা-পুর্নিমার সময় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে এ অঞ্চলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তলিয়ে যায় উপকূলের ঘর-বাড়ি। এসব ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ দ্রুত সংষ্কার বা পুন:নির্মান না হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবারো অসংখ্য জীবন হারানোর আশঙ্কায় এ জেলার মানুষ। সিডরের ১৬ বছরেও এখনো কোনো আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান হয়নি।
সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু সুফল পায়নি উপকূলবাসী। প্রতি বছরই বাধ ভেঙে প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম। নদী তীরবর্তী চার লাখ মানুষ দুর্যোগের সময় থাকে মহা আতঙ্কে…
জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, জনসাধারনের নিরপদ আশ্রয়ের জন্য বেঁড়িবাধ এবং আরও আশ্রয় কেন্দ্র্র নির্মানের পদক্ষেপ নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে এসব নির্মান করা হবে।