গোল্ডেন মনিরের অবৈধ অর্থ-সম্পদের উৎস ও এর পেছনের পৃষ্ঠপোষকদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। এদিকে রেবের পরিচালক লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ জানান, ২৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫শ’ ১৮ কোটি টাকা লেনদেন করেছে মনির। আর এখনো ৪শ’ ১২ কোটি টাকা ব্যাংকে রয়েছে তার। আনুষ্ঠানিকভাবে বিআরটিএ মনিরের গাড়ির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে বলেও জানান তিনি। আলাদা বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান তারা।
গ্রেপ্তারের পর মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড চলছে গোল্ডেন মনিরের। বাড্ডা থানায় করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদে এরই মধ্যে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
দুপুরে গোল্ডেন মনিরের মামলার অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন, ডিএমপির গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। তিনি জানান, মনিরের বৈধ অর্থ-সম্পদের উৎস ও এর পেছনের পৃষ্ঠপোষকদের সন্ধান চলছে।
এদিকে, মামলার তদন্তের বিষয় রেব সদর সদপ্তরে ব্রিফিং করেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ। তিনি জানান , মনিরের প্রকৃত সম্পদের সাথে আয়কর দাখিলে ফারাক রয়েছে। তার ২৫ টি ব্যাংকে লেনদেনের তথ্য পেয়েছে রেব।
অন্যদিকে, মনিরের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ দুদকে আওতাভুক্ত হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক সচিব দিলাওয়ার বখত।
তিনি জানান, ঢাকা দক্ষিণের যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে ৪২ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা পাচারের অভিযোগে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুদক।