ভারত থেকে ২০ টাকা দরে পেঁয়াজ আমদানীর শুরুতে ক’দিন দাম কমলেও এখন দেশি পেঁয়াজের ঝাঁজ আবার ৮০ টাকায় উঠেছে। আমদানী করা ভারতীয় পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে উচ্চ মূল্যে। এদিকে, কোরবানির ঈদের বাকি আর ২০ দিন। কেনাকাটা জমে ওঠেনি মশলার বাজারে। ক্রেতারা প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনছেন। বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে। ব্রয়লার মুরগির দাম ২০ টাকা বেড়ে কেজি এখন ২২০ টাকা। বাকি সব পণ্যই ঊর্ধ্বমুখী। কোন কিছুরই দাম কমার লক্ষণ নেই।
কোরবানির ঈদের বাকি আর ২০ দিন। তার আগেই বাড়তি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব ধরনের মশলার দাম। গরম মশলা এলাচি’র কেজি ২৬শ’ থেকে ৩ হাজার ২শ’ টাকা। লবঙ্গ ২ হাজার টাকা, জিরা ৯০০ টাকা, আদা সাড়ে ৩শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, ডলার সংকটে আমদানি করতে না পারায় দাম বেশি।
এদিকে ভারত থেকে আমদানির শুরুতে পেঁয়াজের দাম কমলেও, এখন তা আবার আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, পাইকারি বাজারেই দাম বেশি। এদিকে বাজারে এখনো মিলছে না প্রয়োজনীয় চিনি। এ বিষয়ে সরকারের কোনো তদারকি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা।
মাছ-মাংসের দাম আগের মতোই নিয়ন্ত্রণের বাইরে। গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪ ভাগের ৩ ভাগ বিক্রিই কমেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে আটার দাম কমেছে কেজিতে ২ টাকা। কাঁচা বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমলেও আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণে মূল্য কমিশন গঠন এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনার দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।