করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে বাস-মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের কথা বলে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি জনগণের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করবে বলেও অভিযোগ করেন তারা। করোনা সংকট কেটে গেলে এ ভাড়া আর কমবে কী না- তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন বাস যাত্রীরা। গণ পরিবহনে বিআরটিএর চেয়ারম্যানের ৮০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশের সমালোচনা করেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।
দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালু সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর শনিবার বাস মালিকদের সাথে বৈঠকের পর বাসের ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করে বিআরটিএর চেয়ারম্যান। বিআরটিএর চেয়ারম্যানের এমন প্রস্তাবের পর সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে। প্রস্তাবনাটি মন্ত্রনালয়ে পাঠানোর পরদিন বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সে এনিয়ে কথা বলেন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
করোনা সংকটের মধ্যেও বাস-মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধির সংবাদে ক্ষোভ জানান সাধারণ মানুষ। যেখানে বিআরটিএ ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালাতে বাধ্য করবে, তা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে অনেকের।
এদিকে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, একটি বিশেষ মহলকে সুবিধা দিতেই বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করে বিআরটিএর চেয়ারম্যান।
সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে অনতিবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।