খুলনায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ভেঙ্গে গেছে কয়রা উপজেলায় বেড়ি বাঁধের ১১টি স্থান। প্লাবিত হয়েছে ৫টি ইউনিয়ন। জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে দেড় লাখ মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতে এই দুর্ভোগ বলে অভিযোগ করেছেন সব হারানো উপকূলবাসির । তবেএ অভিযোগ মানতে নারাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। আর স্থানীয় সংসদ সদস্য বলছেন, পাইকগাছা ও কয়রায় টেকসাই বাঁধ নির্মানে সাত হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে ।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড খুলনার উপকূলীয় এলাকা।সিডর ও আইলায় বিধ্বস্ত কয়রা উপজেলায় ১১টি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে অন্তত অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানি বেড়ে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে যাওয়ায় জলাবদ্ধতায় পড়েছেন অন্তত দেড় লাখ মানুষ।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভঙ্গুর বাঁধ সংস্কার না করায় দূরাবস্থায় পড়েছেন তারা ।
একই কথা বলছেন জনপ্রতিনিধিরা। তবে তা মানতে নারাজ পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের দাবি, ৬০ এর দশকে নির্মিত কয়রার ১৩০ কিঃ মিঃ বাঁধ এত বছরে শুধু মেরামত হয়েছে।
আর সংসদ সদস্য বলছেন, নেদারল্যান্ডের প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেকসই বাঁধ নির্মানে সাত হাজার টাকার প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
নদী শাসন করে বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার দাবি উপকূলবাসীর ।