খাদ্যপণ্যের চড়া দামে ক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ০৪:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ মার্চ ২০২২
 - / ১৬৫০ বার পড়া হয়েছে
 
রাজধানীর বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি এখন প্রতিদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। আর ভোজ্যতেল আমদানীর উপর ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে তেল। ঘাটতির অজুহাত দেখিয়ে প্রতিদিন দাম বাড়ানো হচ্ছে ডিম, মুরগী, মাছ ও মাংসের। এতে আয় ব্যয়ের ভারসাম্য মিলাতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। সবরকম খাদ্যপণ্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ।
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে সবরকম খাদ্যপণ্য। ভরা মৌসুমেও প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম এখন ৭০ টাকা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকারও বেশি। এর পেছনে সিন্ডিকেটকে দায়ী করছে খুচরো ব্যবসায়ীরা।
কবে মানুষ স্বল্প মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনেছেন তা আর মনে পড়ছে না ক্রেতাদের। সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধির কারণে আয়ের সাথে ব্যয়ের সামঞ্জস্য করতে না পারায় দিশেহারা মানুষ। বার বার বাজার মনিটরের দাবি জানলেও সে বিষয়ে সরকারের কার্যকর কোন উদ্যোগ না থাকায় বরাবরের মত আবারও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাজারে আসা ক্রেতারা।
এদিকে, আবারও দাম বেড়েছে ব্রয়লারসহ সব ধরণের মুরগীর। কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও ৫০ থেকে ৬০ টাকার কমে পাওয়া যায়না কোনো সবজি। কোন কোন সবজির দাম কেজিতে ১০০ টাকারও বেশি।
আর সরবরাহের ঘাটতির অজুহাতে গরু মাংসেরও দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা।
প্রতিনিয়ত দাম বাড়ার ফলে খাদ্যপণ্য ক্রয়ে সাধারণ মানুষের এখন নাকাল।
রমজানের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি সাধারণ মানুষের।
																			
																		
















