স্টকহোমে কোরআন পোড়ানোর জের, সুইডেনকে আর ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য সমর্থন করবে না তুরস্ক।
স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান। সুইডেনকে তারা আর ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য সমর্থন করবেন না। ন্যাটোর নিয়মানুযায়ী, তাদের গোষ্ঠীভুক্ত সব দেশ সমর্থন করলেই নতুন কোনো দেশ সদস্য হতে পারে। তাই তুরস্ক বিরোধিতা করলে সুইডেনও ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না।
চলতি মাসে সুইডেনে প্রথমে কুর্দদের একটি প্রতিবাদে এর্দোয়ানের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। তারপর শনিবার কোরআন পোড়ানো হয়।
এরপরই এর্দোয়ানের প্রতিক্রিয়া হলো, ”সুইডেন এখন যেন ন্যাটোতে আমাদের সমর্থনের প্রত্যাশা না করে। আমাদের দূতাবাসের সামনে যারা এই সব ভয়ংকর কাজ করছে, তাদের আমরা সমর্থন করব না।”
সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলস্টর্ম বলেছেন, ”আমাদের দেশে মতপ্রকাশের চূড়ান্ত স্বাধীনতা আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সরকার বা আমি এই মতামত বা কাজকে সমর্থন করছি।” তবে এর্দোয়ানের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেয়ার আগে তিনি ভালো করে বুঝতে চান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ঠিক কী বলতে চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও তুরস্কের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তা তারা মেনে চলবেন।
এর্দোয়ানের বক্তব্য, ”শনিবার এই প্রতিবাদের অনুমতি সরকার দিয়েছিল। আর সবকিছু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নাম দিয়ে চালানো যেতে পারে না। বিশেষ করে শনিবার যা হয়েছে, তা ধর্মনিন্দা, কোনোভাবেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উদাহরণ নয়। ”
তবে ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল স্টলটেনবার্গও বলেছেন, ”ন্যাটোর দেশগুলিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে। ন্যাটো দেশগুলিতে এই সব ঘটনা অন্যায্য হলেও রাতারাতি বেআইনি বলা হয় না।”
কিন্তু তুরস্কর বক্তব্য হলো, ”শনিবারের বিক্ষোভের অনুমতি কেন দেয়া হলো? আমাদের সন্তদের অপমান করার অধিকার কারো নেই। আমরা যখন কোনো কথা বলি, তখন তা সরাসরি বলি। আর কেউ যদি আমাদের অপমান করে, তখন তাদের জায়গা কোথায়, সেটাও দেখিয়ে দিই।”
তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, যেহেতু সরকার ওই বিক্ষোভ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, তাই তারা সুইডেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফর বাতিল করেছেন।
সূত্রঃ DW