কুড়িগ্রামে আমদানীর বিকল্প হিসেবে আঙ্গুর চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছেন কৃষি উদ্যোক্তা রুহুল আমিন। ফুলবাড়ী উপজেলার গঙ্গারহাট এলাকায় তার বাগানে শোভা পাচ্ছে ২২ জাতের আঙ্গুরের গাছ। এবছর কিছু গাছে ফলন আসলেও আগামীতে এ বাগান থেকে জেলায় আঙ্গুরের চাহিদা অনেকাংশেই মেটানো সম্ভব হবে। এদিকে জেলায় আঙ্গুর চাষের উপযোগী প্রচুর জমি থাকায় ব্যাপক হারে এ ফল চাষের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
দু’বছর আগে ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উন্নত জাতের আঙ্গুরের চারা এনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন রুহুল আমিন। বর্তমানে তার বাগানে শোভা পাচ্ছে বাইকুনর, গ্রীণলং, একেলো, এনজেলিকা, মুনড্রপসহ বিভিন্ন জাতের থোকা থোকা আঙ্গুর। এসব আঙ্গুরের রং ও স্বাদ আমদানী করা বিদেশী আঙ্গুরের মতো হওয়ায় মিলেছে সাফল্য। লাভজনক এ ফল চাষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া গেলে আমদানী নির্ভরতা কমার পাশাপাশি লাভবান হবেন স্থানীয় কৃষকরাও।
জেলায় বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ হলেও আঙ্গুরের বাগান এটাই প্রথম। এখানকার মাটিতে আঙ্গুর চাষের সাফল্যে আগ্রহী হয়ে উঠছেন নতুন উদ্যোক্তারাও।
আঙ্গুর চাষের উপযোগী বিপুল পরিমাণ জমি থাকায় ভবিষ্যতে এ ফল চাষের সম্ভাবনার কথা জানায় কৃষি বিভাগ।
ফুলবাড়ী ও সদর উপজেলায় তিন বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে আঙ্গুর চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় আঙ্গুর চাষের উপযুক্ত জমি রয়েছে প্রায় ৪৮ হাজার হেক্টর।