কুমিল্লার পর্যটন এলাকায় দিন দিন বাড়ছে দর্শনার্থীর ভিড়
- আপডেট সময় : ০৬:৪৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
করোনা পরবর্তী সময়ে কুমিল্লার পর্যটন এলাকায় দিনি দিন বাড়ছে দর্শনার্থীর ভিড়। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী দেখতে আসে শালবন বিহার, ইটাখোলা মুড়া, রূপবান মুড়াসহ নানান প্রত্নক্ষেত্র। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা কতৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টী প্রকাশ করেন। আঞ্চলিক পরিচালক জানান, মানুষের সমাগমে দর্শনীয় স্থানগুলো আবারো ফিরে পাচ্ছে আগের রুপে।
শালবন বৌদ্ধ বিহার, আনন্দ বিহার, ইটাখোলা মুড়া, রূপবান মুড়া, হাতীগাড়া মুড়া, রানী ময়নামতির প্রাসাদ, লালমাই পাহাড়সহ নানান পর্যটন ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ কুমিল্লা জেলা। প্রতিবছর ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রচুর দর্শনার্থী আসে ৭ম থেকে ১২শ’ শতাব্দীর পূরাকীর্তি দেখতে।
ময়নামতি যাদুঘর এবং শালবনে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার দর্শনার্থী ভিড় করে। বনভোজনও করেন অনেকে। দেশের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকের পছন্দের তালিকায়ও রয়েছে কুমিল্লার পর্যটন এলাকার নাম। বিদেশী পর্যটকরা জানায়, দর্শনীয় স্থানগুলো ইউটিউব ও ফেইসবুকে অনেক জনপ্রিয় তাই সরাসরি দেখতে আসা। তবে এলাকাগুলোতে সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানো উচিত।
দর্শনার্থীরা জানান, পরিবার নিয়ে বেড়ানো জন্য এটি বেশ ভালো জায়গা। ইতিহাস ও ঐতিহ্যর জন্যএ প্রসিদ্ধ এই প্রত্নতত্ত্ব অঞ্চল।
ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিতে সবসময় সর্তক থাকেন তারা।
শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরের পাশেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রত্নত্বত্ত বিভাগের ছাত্ররা জানায়, প্রত্নক্ষেত্র দেখাশোনায় যারা যুক্ত, তাদের অনেকেই প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে পড়াশোনা করেনি। এসব ক্ষেত্রে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীদেরই প্রধান্য দেয়া উচিত।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক জানান, করোনা পরবর্তী সময়ে বিগত ৫ মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
করোনার কারণে এসব দর্শনীয় স্থানগুলো সরকারি ভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে রাজস্ব আদায় কমে ক্ষতিগ্রস্থ হয় পর্যটন শিল্প। তবে আবারো জনসমাগমে মুখর হয়ে উঠেছে কুমিল্লার পর্যটনা এলাকা।