কুকুরের শরীর থেকে মানবদেহে রোগ সংক্রমন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে বরিশালবাসী
- আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৪৫ বার পড়া হয়েছে
কুকুরের শরীর থেকে মানবদেহে রোগ সংক্রমন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে বরিশালবাসী। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গেছে সংক্রমনের আশংকা অনেক বেশি। নগরী থেকে গ্রাম পর্যায়ে এ ধরনের কুকুর প্রতিনিয়তই দেখা যাচ্ছে। কুকুরগুলো চিহ্নিত করে রোগ সনাক্ত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে সুশীল সমাজ।
প্রায় ছয় বছর ধরে কুকুর নিধন বন্ধ থাকায় বেড়েছে উপদ্রপ। এর সাথে বেড়েছে কুকুরের কামড়ে আক্রান্তের সংখ্যা। এখন কামড়ের চেয়েও আতংক হয়ে দেখা দিয়েছে কুকুরের লোম উঠা ক্ষত রোগ। ক্ষত স্থানে বসছে বিভিন্ন ধরণের পোকামাকড় এবং মশা-মাছি। পরে, তা বসছে মানুষের দেহে। এ থেকে সংক্রমনের আশংকা করা হচ্ছে।
বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র জানায়, প্রতিদিন গড়ে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত এক’শ রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কুকুরের দেহের রোগটি সম্পর্কে কোনো ধারনা নেই। তবে, পশু চিকিৎসকের মাধ্যমে রোগ চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, সিভিল সার্জন।
নির্দিষ্ট এলাকায় কুকুর লালন-পালন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে সুশীল সমাজ। কুকুরের খোয়ারের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, প্রজনন হ্রাস ও জলাতঙ্ক নিরাময়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান, প্যানেল মেয়র। ২০১৪ সাল থেকে কুকুরের প্রজনন বন্ধে সিটি কর্পোরেশন ভ্যাকসিন দিলেও, কোনো কাজ হচ্ছে না। প্রতিবছর গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার কুকুর বেড়েছে। রাতের বেলা নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি চলে যায় কুকুরের নিয়ন্ত্রণে।