আগামীকাল সারাদেশের ৩৯ হাজার গৃহহীন পরিবার পাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। এর মধ্যে গাইবান্ধার ১ হাজার ৪২৯ আর চতুর্থ ধাপে জামালপুরের মেলান্দহের আরো ৩৩টি পরিবারের মাঝেও হস্তান্তর করা হবে ঘরের চাবি। ইতোমধ্যে সব কাজ শেষ। চলছে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার প্রস্ততি। ঘরের চাবি পাওয়ার খবরে খুশি ভূমিহীন মানুষ।
নাম-এনামুল মিয়া। ৪০ বছরের নদীভাঙ্গনে তিনি হারিয়েছেন ভিটে-মাটি। পরিবার নিয়ে ঝোপ-ঝাড়ে দিন কাটিয়েছেন ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। এখন বাস করছেন রাস্তার পাশে জরাজীর্ণ এক ঘরে। তার নামে পাকা ঘর বরাদ্দ হওয়ার পর অস্থায়ী ঠিকানা থেকে মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় তিনি।
জেলার ৬ উপজেলায় ১ হাজার ৪২৯ দরিদ্র পরিবার বরাদ্দকৃত ঘর নিয়ে ভবিষ্যৎ-এর স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে।
ঘরগুলো গুণগত মান বজায় রেখে নির্মাণের কথা জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা। আর জেলা প্রশাসক জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ঘর হস্তাতর করা হবে। জেলায় ৬ উপজেলায় ১ হাজার ৪২৯টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে রয়েছে বিদ্যুৎ,পানি ও শিশুদের জন্য খেলার মাঠ।
এদিকে, জামালপুরের মেলান্দহে ইতোমধ্যেই ৫ শতাধিক ভূমিহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। চতুর্থ ধাপে আরো ৩৩টি পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার পেয়ে খুশি ভূমিহীন মানুষ।
ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে মেলান্দহ উপজেলাকে ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান। এবার চতুর্থ ধাপে জামালপুরে ২৪৩টি পরিবারকে ঘর দেয়া হবে। আর জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫৩৩টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।