টাঙ্গাইলে কাজ শেষ হওয়ার আগেই দেবে যাওয়া সেতুটি ভেঙ্গে নিজ খরচে নির্মাণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী নিয়ম মেনে সেতুটি পূণরায় নির্মাণ করা হচ্ছে। সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর মাঝখানে দেবে যায় গত মাসে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের গাফিলতিতে সেতুটি নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই দেবে যায়।
টাঙ্গাইল-বেড়াডোমা-ওমরপুর সড়কের বেড়ডোমা এলাকার লৌহজং নদীর উপর নির্মানাধীন সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতায় টাঙ্গাইল পৌরসভা বাস্তবায়ন করছে। আট মিটার প্রসস্থ ও ৩০ মিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণে ব্যয় হবে তিন কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর থেকে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে ব্রিক্সস এন্ড ব্রীজ লিমিটেড এন্ড দি নির্মাতা নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজ শেষ হওয়ার কথা ১১ মে। মেয়াদ শেষ হলেও কাজের মাত্র ৫৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
এক মাস আগে সেতুটির ওপর মূল ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। রেলিং ও সংযোগ সড়কের কাজ বাকী। এরই মধ্যে সেন্টারিং সরে গিয়ে সেতুর মাঝে খানে সাড়ে তিন ফুট দেবে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের গাফিলতিতে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই সেতুটি দেবে গেছে। এতে আরো দুর্ভোগ বাড়ছে ব্যবহারকারীদের।
পৌরসভার প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে মূল রহস্য উদঘাটন করা হবে।
জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের জন্য পশ্চিম টাঙ্গাইলের দুই লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র সড়কে সেতুটি নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
কাজ শেষ হওয়ার আগেই টাঙ্গাইলে দেবে গেছে নির্মাণাধীন সেতু/ ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ/ তদন্তের আশ্বাস পৌর প্রকৌশলীর