০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪

কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির ওয়ার্কার্স প্রফিট ফান্ডের ১০ কোটি টাকা ঘায়েব

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৯৫৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীতে একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতি বেড়েই চলছে। এবার কর্ণফূলী ও পেট্রোবাংলার কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার যোগসাজোশে, ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা মিলে শ্রমিক-কর্মচারীদের ঠকিয়ে ওয়ার্কার্স প্রফিট ফান্ডের ১০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। যা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে দফায় দফায় অভিযানও চালিয়েছে দুদক। এনিয়ে কথা বলতে রাজি হননি কর্ণফুলী গ্যাসের কোনো কর্মকর্তা। তবে দুদক বলছে, শুধু ডব্লিউপিপি ফান্ডই নয়, বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও মৃত্যুদিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার নামেও কোটি কোটি টাকার হরিলুট করেছে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।

অভিযোগের তদন্ত করতে কর্ণফূলী গ্যাসে দু’দফায় অভিযান চালায় দুদক। এসময় কেচো খুড়তে বেরিয়ে আসে সাপ। ভুয়া বিল ভাউচার ছাড়াই বিভিন্ন প্রোগ্রামের নামে এমনকি বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের নাম করেও কোটি কোটি টাকা লোপাটের প্রমাণ পায় দুদক।

খাতা কলমে এই হিসাব পরিচালনার দায় জিএম এইচআর, জিএম এ্যাকাউন্টস ও সিবিএ’র সভাপতি-সম্পাদকের সমন্বয়ে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের হলেও, অভিযোগ রয়েছে কর্ণফূলী ও পেট্রোবাংলার শীর্ষ কর্মকর্তারাও জড়িত এই হরিলুটে।

ডব্লিউপিপি ফান্ডের ২০ কোটি টাকা এফডিআর করা হয় কৃষি ব্যাংকের ষোলশহর শাখায়। ৬.৫ শতাংশ হারে ৯ মাসে মুনাফা হিসেবে আসা ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকাও আত্মসাৎ করেছে একাউন্টস বিভাগের জিএম খায়রুল হাসানের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট।

বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও এ্যাকাউন্স বিভাগের জিএম খায়রুল হাসানের অফিসে একাধিকবার ধর্ণা দিলেও কেউ বক্তব্য দেয়নি।

খাতা কলমে এই ফান্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও, অজ্ঞাত কারনে এই হরিলুটে জড়িত সিন্ডিকেটকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন কর্ণফূলীর এমডি আবু সাকলায়েন। অন্য একটি অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলেও উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান তিনি।

তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলে আইনজীবীর মাধ্যমে দায় এড়ানো লিখিত বক্তব্য পাঠায় কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির ওয়ার্কার্স প্রফিট ফান্ডের ১০ কোটি টাকা ঘায়েব

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীতে একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতি বেড়েই চলছে। এবার কর্ণফূলী ও পেট্রোবাংলার কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার যোগসাজোশে, ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা মিলে শ্রমিক-কর্মচারীদের ঠকিয়ে ওয়ার্কার্স প্রফিট ফান্ডের ১০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। যা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে দফায় দফায় অভিযানও চালিয়েছে দুদক। এনিয়ে কথা বলতে রাজি হননি কর্ণফুলী গ্যাসের কোনো কর্মকর্তা। তবে দুদক বলছে, শুধু ডব্লিউপিপি ফান্ডই নয়, বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও মৃত্যুদিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার নামেও কোটি কোটি টাকার হরিলুট করেছে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।

অভিযোগের তদন্ত করতে কর্ণফূলী গ্যাসে দু’দফায় অভিযান চালায় দুদক। এসময় কেচো খুড়তে বেরিয়ে আসে সাপ। ভুয়া বিল ভাউচার ছাড়াই বিভিন্ন প্রোগ্রামের নামে এমনকি বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের নাম করেও কোটি কোটি টাকা লোপাটের প্রমাণ পায় দুদক।

খাতা কলমে এই হিসাব পরিচালনার দায় জিএম এইচআর, জিএম এ্যাকাউন্টস ও সিবিএ’র সভাপতি-সম্পাদকের সমন্বয়ে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের হলেও, অভিযোগ রয়েছে কর্ণফূলী ও পেট্রোবাংলার শীর্ষ কর্মকর্তারাও জড়িত এই হরিলুটে।

ডব্লিউপিপি ফান্ডের ২০ কোটি টাকা এফডিআর করা হয় কৃষি ব্যাংকের ষোলশহর শাখায়। ৬.৫ শতাংশ হারে ৯ মাসে মুনাফা হিসেবে আসা ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকাও আত্মসাৎ করেছে একাউন্টস বিভাগের জিএম খায়রুল হাসানের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট।

বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও এ্যাকাউন্স বিভাগের জিএম খায়রুল হাসানের অফিসে একাধিকবার ধর্ণা দিলেও কেউ বক্তব্য দেয়নি।

খাতা কলমে এই ফান্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও, অজ্ঞাত কারনে এই হরিলুটে জড়িত সিন্ডিকেটকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন কর্ণফূলীর এমডি আবু সাকলায়েন। অন্য একটি অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলেও উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান তিনি।

তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলে আইনজীবীর মাধ্যমে দায় এড়ানো লিখিত বক্তব্য পাঠায় কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী।