করোনা মহামারিতে জাহাজ ভাঙ্গা ও জাহাজ গড়া দুটি সম্ভাবনাময় শিল্পই ক্ষতিগ্রস্ত

- আপডেট সময় : ০৫:২৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০
- / ১৫৯১ বার পড়া হয়েছে
জাহাজ ভাঙ্গা ও জাহাজ গড়া বাংলাদেশের দুটি সম্ভাবনাময় শিল্পই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করোনা মহামারিতে। ফলে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিশাল অর্থনীতির পাশাপাশি ৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান নিয়েও তৈরী হয়েছে অনিশ্চয়তা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নীতিগত সহায়তা না পেলে অস্থিত্ব হারাবে বড় এই শিল্পখাত দুটি। জাতীয় অর্থনীতিতে অনেকটা নীরবে গুরুত্ব রাখা খাত দু’টির প্রয়োজনীয়তার কথা সরকারের কাছে তুলে ধরতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আমদানী করা পণ্য বিদেশি মাদার ভেসেলে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে আসার পর আনলোড হয়ে এই ছোট আকারের জাহাজে করে চলে যায় দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন রুটে বিপুল সংখ্যক যাত্রীবাহী লঞ্চ ও স্টীমারও চলাচল করে প্রতিনিয়ত। এসব নৌযানের প্রায় শতভাগই তৈরী হয় দেশীয় শিপ ইয়ার্ডগুলোতে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামের অন্তত ২০ টি শিপইয়ার্ড গভীর সাগরে চলাচল উপযোগী জাহাজ বানানোর সক্ষমতা দেখিয়েছে। কিন্তু উদিয়মান এই শিল্পটি এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে করোনার ধাক্কায়।
সাগরে চলাচলের যোগ্যতা হারানো বিশালাকারের এই জাহাজগুলো ভাঙ্গা হয় সীতাকুণ্ডের শিপ ব্রেকিং জোনে। পুরনো জাহাজের সচল যন্ত্রাংশগুলো সংস্কার করে লোকাল নৌযান তৈরীর পাশাপাশি স্ক্র্যাপ লোহা গলিয়ে বানানো হয় বিলেট ও রড। এছাড়া ছোট-বড় অন্তত ২০ টি ক্যাটাগরির শিল্প কারখানার প্রধান কাচাঁমালের যোগানও আসে ভাসমান এই লোহার খনি থেকে। কিন্তু করোনার কারনে স্থবিরতা নেমেছে এখানেও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সহায়তা চান এই খাতের উদ্যোক্তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিপুল পরিমান মানুষের কর্মসংস্থান তৈরীর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অনেকটা নিরবে অবদান রাখা এদুটি শিল্পখাত সরকারের পর্যাপ্ত সহযোগীতা বা পরামর্শ কোনটিই পায়নি কখনো।
দিন দিন ব্লু-ইকোনোমি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় ছোট আকারের নৌযানের চাহিদা বেড়েছে গোটা বিশ্বে। এছাড়া করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে স্ক্র্যাপ জাহাজের দামও কমেছে। তাই এত অনিশ্চয়তার মাঝেও এক ধরণের সম্ভাবনাও আছে। কিন্তু তার জন্য টিকে থাকতে হবে আরো কিছুদিন। আর এই সময়টায় সরকারের সহায়তা চান উদ্যোক্তারা।