১২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

করোনা ভাইরাসের কারণে বরগুনার ৫ শতাধিক কাঁকড়া চাষী বিপাকে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০
  • / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনা ভাইরাসের কারণে বরগুনার ৫ শতাধিক কাঁকড়া চাষী বিপাকে পড়েছেন। রফতানি বন্ধ থাকায় সোয়া দুই কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। এছাড়াও ব্যাংক, এনজিও এবং দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ঘেরে কাঁকড়া চাষ করেছেন অধিকাংশ কাকড়া চাষী । লোকসান আর ঋণের বোঝা থেকে পরিত্রান গেতে মৎস বিভাগ,ঋণ প্রদানকারী সংস্থা এবং দাদন ব্যবসায়ীদের দ্বারে দ্বারে ধরণা দিচ্ছেন তারা।

বরগুনার পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলীতে সহস্রাধিক ঘেরে চলতি বছরে কাকড়া উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার কেজি। চাষীরা প্রতি বছর পার কেজি কাকড়ার মূল্য পেতেন দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। যার বাজার দর আসে দুই কোটি ৭৫লাখ টাকা। এবার করোনা মহামারীর কারনে তা বিক্রি করতে হচ্ছে, মাত্র ৫শ’ টাকা দরে । এ হিসেবে মাত্র দাম পড়ে ৫৫লাখ টাকা। বাকী সোয়া দুই কোটি টাকা লোকসান পুষিয়ে উঠতে কাকড়া চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
চীনে ভালো চাহিদা ও দাম থাকায় গত কয়েক বছরে কাকড়া চাষে ব্যাপক বিস্তার ঘটে বরগুনার বিভিন্ন অঞ্চলে।

ঋণ প্রদানকারী সংস্থা আশা, ব্র্যাক, সংগ্রামসহ বিভিন্ন এনজিও এবং কৃষি ব্যাংক ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হতে চলেছেন কাঁকড়া চাষিরা। তারপর আবার রফতানি বন্ধ থাকায় ডিমওয়ালা কাকড়াগুলো ঘেরেই মরতে বসেছে। কাকড়া ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার তাদের পরিবারে চুলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।

করোনায় দিশেহারা কাকড়া চাষীদের সরকারিভাবে সহায়তার দাবি জানান এনজিও নেতা।

ঋন ও ধার দেয়া প্রতিষ্ঠানকে নমনীয় হওয়ার পাশাপাশি মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

করোনার নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে শীঘ্রই কাকড়া চাষীরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবেন-এমনটাই আশা বরগুনাবাসীর।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

করোনা ভাইরাসের কারণে বরগুনার ৫ শতাধিক কাঁকড়া চাষী বিপাকে

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০

করোনা ভাইরাসের কারণে বরগুনার ৫ শতাধিক কাঁকড়া চাষী বিপাকে পড়েছেন। রফতানি বন্ধ থাকায় সোয়া দুই কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। এছাড়াও ব্যাংক, এনজিও এবং দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ঘেরে কাঁকড়া চাষ করেছেন অধিকাংশ কাকড়া চাষী । লোকসান আর ঋণের বোঝা থেকে পরিত্রান গেতে মৎস বিভাগ,ঋণ প্রদানকারী সংস্থা এবং দাদন ব্যবসায়ীদের দ্বারে দ্বারে ধরণা দিচ্ছেন তারা।

বরগুনার পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলীতে সহস্রাধিক ঘেরে চলতি বছরে কাকড়া উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার কেজি। চাষীরা প্রতি বছর পার কেজি কাকড়ার মূল্য পেতেন দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। যার বাজার দর আসে দুই কোটি ৭৫লাখ টাকা। এবার করোনা মহামারীর কারনে তা বিক্রি করতে হচ্ছে, মাত্র ৫শ’ টাকা দরে । এ হিসেবে মাত্র দাম পড়ে ৫৫লাখ টাকা। বাকী সোয়া দুই কোটি টাকা লোকসান পুষিয়ে উঠতে কাকড়া চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
চীনে ভালো চাহিদা ও দাম থাকায় গত কয়েক বছরে কাকড়া চাষে ব্যাপক বিস্তার ঘটে বরগুনার বিভিন্ন অঞ্চলে।

ঋণ প্রদানকারী সংস্থা আশা, ব্র্যাক, সংগ্রামসহ বিভিন্ন এনজিও এবং কৃষি ব্যাংক ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হতে চলেছেন কাঁকড়া চাষিরা। তারপর আবার রফতানি বন্ধ থাকায় ডিমওয়ালা কাকড়াগুলো ঘেরেই মরতে বসেছে। কাকড়া ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার তাদের পরিবারে চুলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।

করোনায় দিশেহারা কাকড়া চাষীদের সরকারিভাবে সহায়তার দাবি জানান এনজিও নেতা।

ঋন ও ধার দেয়া প্রতিষ্ঠানকে নমনীয় হওয়ার পাশাপাশি মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

করোনার নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে শীঘ্রই কাকড়া চাষীরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবেন-এমনটাই আশা বরগুনাবাসীর।