০৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

করোনার প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে পাবনার পোলট্রি শিল্প

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:০১:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
  • / ১৫১৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনার প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে পাবনার পোলট্রি শিল্প। খামারিদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে হ্যাচারীগুলোও। এদিকে, একই কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুমিল্লার পোল্ট্রি শিল্প। ক্রেতা শূন্যতায় ডিম ও মুরগি বিক্রি করতে না পেরে হতাশায় দিন কাটছে ব্যবসায়ীদের। দিনে দিনে বাড়ছে খামরিদের ঋণের বোঝা। অন্যদিকে, লোকসানের মুখে কুষ্টিয়ার প্রায় ১২শ’ পোল্ট্রি খামার। মুরগির দাম নেমে গেছে অর্ধেকে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক খামার। বেকার হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার শ্রমিক। প্রনোদনা না পেলে এ শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে বলে শংকা সংশ্লিষ্টদের।

করোনার কারণে পাবনার তৃণমূল পর্যায়ের খামারগুলোতে এক দিনের মুরগির বাচ্চা বিক্রি করতে না পেরে ধ্বংস করা হয়। প্রায় সাড়ে তিন হাজার পোল্ট্রি খামারি নামমাত্র মূল্যে মুরগি ও ডিম বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। পাবনায় এই খাতে সরাসরি ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ কাজ করে। পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষের জীবন।

লোকসানের কারণে অনেকের পথে বসার অবস্থা হয়েছে। এ থেকে উত্তরনের জন্য সুদমুক্ত রিনের দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।বাচ্চা উৎপাদনের পর বিক্রি করতে না পেরে প্রতি সপ্তাহে কয়েক কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানান, এই কর্মকর্তা।কুমিল্লায় প্রতিটি ডিম উৎপাদনে খরচ হয় ছয় টাকা। আর, বিক্রি করতে হচ্ছে পাঁচ টাকায়। মুরগি কেজি প্রতি উৎপাদন খরচ ১৬০ টাকা। এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ১৩০ টাকায়।কাঙ্খিত গ্রাহক না থাকায় জমে যাচ্ছে বিপুল পরিমান ডিম।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রনোদনা সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের হাতে তুলে দিতে সচেষ্ট রয়েছেন তারা। কুষ্টিয়ার পোল্ট্রি খামারের ব্রয়লার, সোনালী ও লেয়ার মুরগি ঢাকা, রাজশাহীসহ আশপাশের জেলায় সরবরাহ হতো। করোনার কারণে বাজার ও পরিবহন বন্ধ হওয়ায় অচল হয়ে পড়েছে জেলার এ অন্যতম শিল্প। প্রাণিসম্পদ বিভাগ এই সংকটে কোনো খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছে জেলার খামারিরা। তবে, সাধ্যমতো ভুমিকা রেখেছে বলে জানান, এই কর্মকর্তা। জরুরি ভিত্তিতে কুষ্টিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ পোল্ট্রি খামারিদের প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানিয়েছে, স্থানীয় সচেতন মহল।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

করোনার প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে পাবনার পোলট্রি শিল্প

আপডেট সময় : ০৭:০১:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০

করোনার প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে পাবনার পোলট্রি শিল্প। খামারিদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে হ্যাচারীগুলোও। এদিকে, একই কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুমিল্লার পোল্ট্রি শিল্প। ক্রেতা শূন্যতায় ডিম ও মুরগি বিক্রি করতে না পেরে হতাশায় দিন কাটছে ব্যবসায়ীদের। দিনে দিনে বাড়ছে খামরিদের ঋণের বোঝা। অন্যদিকে, লোকসানের মুখে কুষ্টিয়ার প্রায় ১২শ’ পোল্ট্রি খামার। মুরগির দাম নেমে গেছে অর্ধেকে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক খামার। বেকার হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার শ্রমিক। প্রনোদনা না পেলে এ শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে বলে শংকা সংশ্লিষ্টদের।

করোনার কারণে পাবনার তৃণমূল পর্যায়ের খামারগুলোতে এক দিনের মুরগির বাচ্চা বিক্রি করতে না পেরে ধ্বংস করা হয়। প্রায় সাড়ে তিন হাজার পোল্ট্রি খামারি নামমাত্র মূল্যে মুরগি ও ডিম বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। পাবনায় এই খাতে সরাসরি ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ কাজ করে। পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষের জীবন।

লোকসানের কারণে অনেকের পথে বসার অবস্থা হয়েছে। এ থেকে উত্তরনের জন্য সুদমুক্ত রিনের দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।বাচ্চা উৎপাদনের পর বিক্রি করতে না পেরে প্রতি সপ্তাহে কয়েক কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানান, এই কর্মকর্তা।কুমিল্লায় প্রতিটি ডিম উৎপাদনে খরচ হয় ছয় টাকা। আর, বিক্রি করতে হচ্ছে পাঁচ টাকায়। মুরগি কেজি প্রতি উৎপাদন খরচ ১৬০ টাকা। এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ১৩০ টাকায়।কাঙ্খিত গ্রাহক না থাকায় জমে যাচ্ছে বিপুল পরিমান ডিম।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রনোদনা সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের হাতে তুলে দিতে সচেষ্ট রয়েছেন তারা। কুষ্টিয়ার পোল্ট্রি খামারের ব্রয়লার, সোনালী ও লেয়ার মুরগি ঢাকা, রাজশাহীসহ আশপাশের জেলায় সরবরাহ হতো। করোনার কারণে বাজার ও পরিবহন বন্ধ হওয়ায় অচল হয়ে পড়েছে জেলার এ অন্যতম শিল্প। প্রাণিসম্পদ বিভাগ এই সংকটে কোনো খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছে জেলার খামারিরা। তবে, সাধ্যমতো ভুমিকা রেখেছে বলে জানান, এই কর্মকর্তা। জরুরি ভিত্তিতে কুষ্টিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ পোল্ট্রি খামারিদের প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানিয়েছে, স্থানীয় সচেতন মহল।