এসএ পরিবহনের জরুরী পণ্য পরিবহনে বিজিবি ও জেলা প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপ
- আপডেট সময় : ০৩:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১৯১৬ বার পড়া হয়েছে
সুনামগঞ্জে দেশের শীর্ষ পার্সেল ও কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান এসএ পরিবহনের জরুরী পণ্য পরিবহনে বিজিবি ও জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে নগ্ন হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। একইসংগে বৈধ পণ্যকে অবৈধ সাজিয়ে মালামাল লুট এবং কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে মিথ্যে মামলা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিজিবি ও জেলা প্রশাসনের কতিপয় অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন এসএ পরিবহনের কর্মকর্তারা। মাসোহারা না পাওয়ায় সুনামগঞ্জের বর্ডারহাট থেকে কেনা সাধারণ মানুষের পণ্য পরিবহনে বিজিবি ও প্রশাসনের হয়রানির মাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে বলেও জানান তারা। আর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপ বর্ডারহাট। কিন্তু বিজিবি ও জেলা প্রশাসনের অসাধুচক্রের হয়রানিতে বর্ডারহাটের পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে না। ফলে বাড়ছে চোরাচালান। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সর্ম্পক বজায় রাখতে ও সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ বর্ডারহাট ।এরই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জ সীমান্তের ডলুরা ও বোগলা এলাকায় দুটি বর্ডারহাটে কেনা-বেচার জন্য ৫ শতাধিক কার্ড ইস্যু করে জেলা প্রশাসন।
সীমান্তের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধিসহ চোরাচালান বন্ধে প্রত্যেক কার্ডধারী প্রতি হাটে দু’শ ডলার বা ২০ হাজার টাকার পণ্য বিনা শুল্কে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন। বর্ডারহাট থেকে ভারতীয় পণ্য কসমেটিক্স, মশলা, সাবান, কিছমিছ, ভারতীয় বিস্কুট ও চকলেট, শাড়ী কাপড়, থান কাপড় ক্রয় করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে বিক্রি করে সামান্য লাভ হয়।
ব্যবসায়ীদের বর্ডারহাটের পণ্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতে পরিহন করতে দিচ্ছে না বিজিবিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর অতি উৎসাহী কিছু সদস্য। বৈধ পণ্যকে অবৈধ ভারতীয় মালামাল সাজিয়ে আটক করা হচ্ছে এবং হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে এসএ পরিবহনের মত পার্সেল সার্ভিসের নিম্ন বেতনভোগী কর্মচারীদের। প্রতিটি পণ্যের বুকিং দাতার নাম ও মোবাইল নম্বর থাকা সত্ত্বেও এসএ পরিবহনের গাড়ী ও কর্মচারীদের আটক করে হয়রানী করছেন বিজিবি’সদস্যরা।
এসএ পরিবহন একটি পার্সেল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান। দেশের বাজারে যে সব পণ্য ক্রয়-বিক্রয় হয় সেগুলোই এসএ পরিবহন দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌছে দেয় এবং সার্ভিস চার্জ গ্রহন করে জানালেন শাখা ব্যবস্থাপক।
এসএ পরিবহনের সুনাম ক্ষুন্ন করতেই বিজিবি’ গাড়ি আটকে রাখে এবং ম্যানেজার শওকত কামালকে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে অভিযোগ এসএ পরিবহনের বিভাগীয় কর্মকর্তার ।
তবে বিষয়টির নিয়ে ভিন্ন কথা বলেন এসএ পরিবহনের গাড়ী থামিয়ে আটককারী এই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।