এলসি ছাড়া নজিরবিহীনভাবে জাপান থেকে গাড়ি আমদানি
- আপডেট সময় : ০৩:০০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২
- / ১৯০৭ বার পড়া হয়েছে
সরকারের বিলাস পণ্য আমদানী নিয়ন্ত্রণ নীতি বাস্তবায়নের মধ্যে গাড়িতে সয়লাব হয়ে গেছে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের বিভিন্ন কার শেড। সবচেয়ে ভয়ংকর হলো এসব গাড়ি আমদানীতে কোন এলসিই খোলা হয়নি। অর্থাৎ বৈধ পথে গাড়িগুলোর দাম পরিশোধ করা হয়নি। গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডার দাবি এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ওপর আস্থা রেখে পণ্য পাঠিয়েছে রপ্তানীকারকরা। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এমন অবস্থায় হুণ্ডিসহ বিকল্প উপায়ে ডলার পাচারের আশংকা থেকেই যাচ্ছে।
স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গাড়ির চালান এসেছে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে। ইতিমধ্যে ৭৬৯ টি গাড়ি নেমেছে বন্দরে আরো ১৩ টি গাড়ি নিয়ে রওনা হয়েছে দুটি জাহাজ। কয়েকদিনের মধ্যেই পৌছবে বাংলাদেশের জলসীমায়। এরচেয়েও অবাক করা তথ্যটি হলো এসব গাড়ির বিপরিতে একটি টাকাও পরিশোধ করতে হয়নি বাংলাদেশের কোন আমদানীকারকের।
প্রচলিত নিয়মে আসা গাড়ির ডকুমেন্টগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে প্রতিটি ডকুমেন্টে আমদানী ও রপ্তানীকারকের বিস্তারিত ঠিকানার মাঝে ঋণপত্র খোলা ব্যাংকের নামও উল্লেখ আছে। জিএফএক্স-১ও২ কিন্তু এই চালানের কোন ডকুমেন্টেই এলসি খোলা ব্যাংকের নাম নেই। এমনকি আমদানী কারকের নামও অস্পষ্ট।বড় এই চালানটির জন্য কোন এলসিই খোলা হয়নি। এতে হতবাক শিপিং এজেন্ট ও ব্যবসায়ী নেতারা।
তবে এই ঘটনাকে সংকট দাবি করে ব্যাংকগুলোর ওপর দায় চাপাচ্ছে গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারবিডা। সংগঠনটির দাবি রপ্তানীকারকদের সঙ্গে ব্যবসায়ীক সু সম্পর্ক থাকায় এলসি ছাড়াই পণ্য জাহাজিকরন করছে তারা।
এই বারবিডার এমন দাবিকে হস্যকর বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের দাবি, হুন্ডির মাধ্যমে বিকল্প উপায়ে বিদেশি রপ্তানীকারদের দায় পরিশোধ করেছে আমদানীকরাকরা। সরকারের উচিত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা। কারণ এখান থেকেই বিদেশে টাকা পাচারের দীর্ঘদিনের অন্যতম একটি রুটের সন্ধান মিলতে পারে।
বারবিডার একটি সুত্র বলছে, এলসি ছাড়া আমদানী করা এসব গাড়ির অধিকাংশই ২০১৭ মডেলের হওয়ায় ডিসেম্বরের পর গাড়িগুলোর বাংলাদেশে প্রবেশাধিকার নেই। তাই তড়িঘড়ি করে অবৈধ পথে গাড়িগুলো আনা হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।