এমপির এসএমএসে কমিটি হয়, এসএমএসেই ভাঙে কমিটি
- আপডেট সময় : ১১:২১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
- / ২৩৬১ বার পড়া হয়েছে
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির এসএমএসে কমিটি হয়, আবার এসএমএসেই ভাঙে কমিটি। যখন ইচ্ছে তিনি কমিটি ঘোষণা দেন, আবার ইচ্ছে হলেই ভেঙ্গে দেন কমিটি। এভাবেই চলছে রাজশাহীর বাঘা দলিল লেখক সমিতি। অভিযোগ রয়েছে, সমিতির নামে আদায় করা চাঁদার লাখ লাখ টাকাও যাচ্ছে এমপি ঘনিষ্ঠদের পকেটে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হলেও শাহরিয়ারের ভয়ে মুখ খুলছেন না দলিল লেখকরা। সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রম না থাকলেও অর্থ আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করছে এই সমিতি। রাজশাহী থেকে জিয়াউল গনি সেলিমের প্রতিবেদন।
২০১৯ সাল থেকে যখন তখন পাল্টে যাচ্ছে বাঘা দলিল লেখক সমিতি। এই সমিতির সদস্যরা নিজেদের নেতা নির্বাচনের এখতিয়ার রাখেন না। এমন কি কমিটি গঠনের সময়ও সদস্যদের মতামত নেয়া তো দূরের কথা, তারা জানতেও পারেন না কে কখন কোন পদে নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন।কারণ, স্থানীয় এমপি ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের এসএমএসেই নেতৃত্ব নির্বাচিত হয় এখানে।
এমপি শাহরিয়ার আলম সমিতির সভাপতি হিসেবে যুবলীগ নেতা শাহিনুর আলম পিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সামিউল আলম নয়ন সরকারের নাম লিখে এসএমএম পাঠিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন ইউএনও। সরকার দলীয় নেতা, ঠিকাদার ও হোমিও চিকিৎসকরাও লাইসেন্স নিয়ে সেজেছেন দলিল লেখক। এভাবেই দলের পদধারী নেতাদের দলিল লেখক সমিতিতে বসিয়ে দখল নিয়েছেন শাহরিয়ার এমপি। এমন কি এমপির ব্যক্তিগত সহকারীর পকেটেও সমিতির নামে তোলা মোটা টাকা পৌঁছে দেয়া হয়-বলছেন খোদ সদস্যরাই। লাভজনক হওয়ায় দলিল লেখক সমিতিতে এমপির হস্তক্ষেপের বিষয়টি অকপটে স্বীকার করলেন সমিতির বর্তমান নেতারা।যদিও রাজনৈতিকখাতে সমিতির টাকা পাঠানো অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা।এদিকে, সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা করে স্টিকার লাগানো দেয়ালে দেয়ালে। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রার নিজেই অনৈতিকভাবে দলিল লেখক সমিতির কাছ থেকে এসি উপহার নিয়েছেন।
বাঘা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সপ্তাহে দুদিন দলিল রেজিস্ট্রি হয়।