এনএসইউ’র শিক্ষার্থী পায়েল হত্যা মামলার রায়ে বাস চালকসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
- আপডেট সময় : ০৮:২৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৬৫ বার পড়া হয়েছে
নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার দায়ে হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার জনি এবং চালক জামাল হোসেন ও হেলপার ফয়সাল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। এসময় গাড়ী চালানোর আগে চালকসহ সংশ্লিষ্টদের ডোপ টেস্ট, মহাসড়কে যান চলাচল সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ এবং প্রতি ৩ কিলোমিটার পর পর গণশৌচাগার স্থাপনসহ ৪টি সুপারিশও দেয় আদালত।
২০১৮ সালের ২১ জুলাই দুই বন্ধুর সাথে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসছিলেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল। যাত্রাপথে জ্যামের কারণে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গাড়ী থেকে নীচে নামতে চায় বিবিএ ৫ম বর্ষের এই শিক্ষার্থী। কিন্তু নামার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়ে জ্ঞান হারায় সে। ওই সময় আহত এই যাত্রীকে গাড়ীতে না তুলে ভাটেরচর সেতু থেকে ফেলে দিয়ে ঢাকায় চলে আসে চালক ও সুপারভাইজার। ২৩ জুলাই সেতুর নীচ থেকে পায়েলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য সকালে তিন আসামীকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আনা হয় আদালতে।
আদালতে আসেন নিহত পায়েলের মা, মামা ভাগ্নিসহ স্বজনরা।
এরপর আসামী হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল ও হেলপার ফয়সালের উপস্থিতি রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।
আপস…… রায়ে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা প্রমানিত হওয়ায় সুপারভাইজার ও চালক ও হেলপারকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।
এসময় চালকদের ডোপ টেস্টসহ ৪ দফা নির্দেশনাও দেয় আদালত।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দ্রুত সাজা কার্যকরের দাবী জানান স্বজনরা।
এদিকে ন্যায়বিচার না পাওয়ার অভিযোগ তুলে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানান আসামী পক্ষের আইনজীবী।
বিচারিক আদালতের এই রায় চালক-হেলপারসহ সুপারভাইজারদের যাত্রীসেবার বিষয়ে আরো দায়িত্বশীল করবে এবং নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মত দেন আইনজীবীরা।