এই হামলা কি ট্রাম্পের জন্য ট্রাম্প কার্ড?
- আপডেট সময় : ০৯:২৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
- / ১৯৬৭ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়েছে। এ হামলার ফলে ট্রাম্পের সমর্থন বৃদ্ধি পেতে পারে বলে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। ট্রাম্পের ওপর এই হামলা নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলেও ধারণা বিশ্লেষকদের। একইসাথে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে এই হামলাটি আগামী নির্বাচনে ভরাডুবি হতে পারে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প, এখন জনমনে প্রশ্ন উঠেছে- জো বাইডেন কি তাহলে ট্রাম্পের হত্যা চেষ্টাকারী? নাকি নিশ্চিত পরাজয় জেনেই ট্রামকে হত্যা করার ছক কষছেন বাইডেন প্রশাসন? তবে এই হামলা যে ট্রাম্পের জন্য ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ধরা দিবে সেটা মোটামুটি নিশ্চিত। এমনকি এই হামলা মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণাকে দিতে পারে নতুন মাত্রা।
হামলায় ট্রাম্পের আহত হওয়া এবং রক্তাক্ত অবস্থায় মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে তুলে হার না মানার ইঙ্গিত দেওয়া এবং সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টদের মাধ্যমে মঞ্চ থেকে তাড়াহুড়ো করে চলে যাওয়ার অসাধারণ এসব ছবি কেবল ইতিহাস তৈরিই নয়-এসব ছবি আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথও পরিবর্তন করে দিবে। ট্রাম্পের ওপর হামলা এবং রক্তাক্ত হওয়ার এসব ছবি বেশ দ্রুতই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। এমনকি সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের ছেলে এরিক ট্রাম্পও এসব ছবি পোস্ট করেছেন। এছাড়াও আমেরিকার সাধারণ জনগণও ছবি পোস্ট করে নিন্দা জানাচ্ছে। ধিক্কার দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসনকে।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি করা ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছে দেশটির ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। ওই ব্যক্তি নাম থমাস ম্যাথু ক্রুকস। তবে ট্রাম্পই প্রথম ব্যক্তি নয়, যিনি নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বা রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। দেশটিতে এ ধরনের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৬৩ সালে দেশটিতে জন এফ কেনেডিকে হত্যাসহ সাবেক চার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তাদের নিজ অফিসে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া ১৯৮১ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগন গুলিবিদ্ধ হয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
গত মাসের শেষ বিতর্কে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচিত হন বাইডেন। সম্প্রতি ন্যাটো সম্মেলনে গিয়েও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে ভুল করে আরও সমালোচিত হচ্ছেন। প্রশ্ন উঠছে, তাঁর বয়স ও কর্ম দক্ষতা নিয়ে। এরইমধ্যে এই হামলা ডেমোক্র্যাটিক বাইডেনকে আরও চাপের মধ্যে ফেলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন দেখা্র অপেক্ষা ট্রাম্পের এই হামলা তার জন্য আশীর্বাদ নাকি তাঁর জন্য বড় রকমের শনির দশা। সব প্রশ্নের জট খোলার অপেক্ষা করতে হবে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত।