উত্তরাঞ্চলের নদী অববাহিকায় বানের পানি দ্রুত বাড়ছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগও।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার ওপর স্থিতিশীল থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানি স্থায়ী হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে বানভাসীদের। ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকই।
গাইবান্ধায় তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে এলাকা ছাড়ছেন। ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে নদীপাড়ের মানুষের বসত-ভিটাসহ ফসলি জমি।
বগুড়ায় বৃষ্টি আর ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে যমুনা নদীর পানি ২৪ ঘন্টায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ১২শ’ হেক্টর ফসলের মাঠ। বন্ধ করা হয়েছে ৫০টির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
নেত্রকোনায় বন্যার্তদের সহায়তায় খালিয়াজুরী ও মদন উপজেলায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি কাজ করছে। এছাড়াও প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে।
কুষ্টিয়ায় মাত্র ৩০ মিনিটে ১’শ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।দুপুর ১২ টা থেকে টানা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত শহর ও জেলার ৬টি উপজেলায় কোথাও ভারী আবার কোথাও হাল্কা বৃষ্টি হয়েছে।