উজানের ঢল ও বৃষ্টির কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে যমুনার পানি
- আপডেট সময় : ০২:২৪:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩
- / ১৬৭৮ বার পড়া হয়েছে
উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে যমুনার পানি। সেই সাথে দেখা দিয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর, দেলদুয়ার ও সদর উপজেলার অর্ধশত গ্রামে তীব্র নদীভাঙন। ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদী তীরের হাজার হাজার পরিবার। ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরী সাহায্য বিতরণ করা হচ্ছে জানিয়ে, জেলা প্রশাসন ভাঙ্গনরোধে দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় ঢল ও টানা বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীতে দ্রুত বাড়ছে বানের পানি। দ্রুত পানি বাড়ায় চরাঞ্চলে তিল ও পাটসহ নানা ফসলও যাচ্ছে তলিয়ে। সেই সাথে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙন। নিমিষেই যমুনার পেটে চলে যাচ্ছে- বসতভিটা, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। ফলে ভাঙন কবলিত মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। অনেকে সরিয়ে নিচ্ছে ঘরবাড়ি, কেউ কেউ সেই সুযোগটুকুও পাচ্ছেন না। চোখের জলে নীরবেই অসহায়ভাবে ভাঙন দেখছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। তারপর বাধ্য হচ্ছেন মানবেতর জীবনযাপনে।
ভূঞাপুর উপজেলার ২০টি গ্রামসহ কালিহাতীর ১০টি, নাগরপুরের ২০টি, দেলদুয়ার ও সদর উপজেলার ১০টিরও বেশি গ্রামে এবছর নদীভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ যাবৎ কয়েক দফা বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও নেয়া হয়নি কোন কার্যকর পদক্ষেপ। ভাঙনের কারণে খোলা আকাশের নিচে, রাস্তায়, বাঁধে ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়া গৃহহীন পরিবারগুলো প্রশাসনের কাছে ত্রাণের বদলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসন বলছে, যমুনার ভাঙ্গনরোধে ভূঞাপুর ও নাগরপুরে দুটি পৃথক প্রকল্প চলমান রয়েছে। শিগগিরই শুরু হবে আরো ক’টি বড় প্রকল্পের কাজ।
গত এক দশকে যমুনা নদীর ভাঙ্গনে গৃহহীন হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশী পরিবার। ভাঙ্গনরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা করা না হলে সহসাই যমুনাগর্ভে চলে যাবে আরো ১০টির বেশি গ্রাম।