অভিনেত্রী হিসেবে নয়, তারকার তকমা লাগিয়ে নিজেদের উচ্চাবিলাসী চিন্তা থেকেই বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়েছেন কিছু শিল্পী, এমন মন্তব্য করেছেন নির্মাতা ও অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। আর সমিতির অর্ন্তভূক্ত নন, এমন কোন শিল্পীর অসামাজিক কাজের দায় নেবে না জানিয়ে, নির্মাতা ও অভিনয় শিল্পী সংগঠনের নেতারা বলেছেন, তাদের এসব কর্মকাণ্ডে ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হয়েছে মূল ধারার শিল্পীদের। সম্প্রতি বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত মডেল ও চলচ্চিত্র শিল্পীদের বিষয়ে এসব মন্তব্য করেন তারা।
সম্প্রতি মাদকসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমণি, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা, মরিয়ম আক্তার মৌ এবং প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এভাবেই পিয়াসা ও মৌ আটকের পর তারা দু’জনই মডেলিংয়ের সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানায় গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা। এর ফলে এই মাধ্যমের প্রতি বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় সাধারণ মানুষের মাঝেও। এ বিষয়ে মূলধারার শিল্পীদের বিব্রতকর পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন অভিনয় শিল্পী ও ডিরেক্টরস সংগঠনের নেতারা।
মডেল বা শিল্পী পরিচয় কখনোই তাদের অসামাজিক কাজের সিঁড়ি হতে পারে না বলেও জানান তারা।
মডেল পিয়াসা ও মৌ’ এর পর একই অভিযোগে ৪ আগস্ট নিজ বাসা থেকে আটক করা হয় বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমণি এবং প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে। এসময় উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য।পরে বিতর্ক এড়াতে ৭ আগস্ট এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলন করে পরীমণির সদস্য পদ স্থগিত করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।
পরীমণিকে নিয়ে সারাদেশের পাশাপাশি আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মাঝেও। অভিনয় শিল্পীদের এধরনের নৈতিক স্থলনের জন্য যোগ্যতার বেশি প্রত্যাশাকেই দায়ি করেন চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রী।
তার দাবি, শুধু শিল্পীরা একাই দায়ী নয়, তাদের এসব কর্মকান্ডের পেছনে সমাজের কিছু বিত্তবান লোকের ভূমিকাও রয়েছে।