ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে আগের অবস্থানে অনড় আছেন বলে জানিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে রাশিয়া। এদিকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন তিনি
ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের মুখোমুখি রাশিয়া। এ নিয়ে দুই পক্ষই সীমান্তে বাড়াচ্ছে সামরিক শক্তি। দফায় দফায় আলোচনায় বসছে নানা পক্ষ। সাবেক সোভিয়েত দেশ ইউক্রেনকে ন্যাটো থেকে চিরতরে বহিষ্কার করারও দাবি জানিয়ে আসছে রাশিয়া।
চলমান উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মস্কোর প্রধান দাবি প্রত্যাখ্যান করায় আগের অবস্থানে অনড় আছেন বলে জানিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনে আলাপকালে পুতিন বলেন, ওয়াশিংটন ও ন্যাটোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে তুরস্কের ড্রোন রপ্তানি হুমকির মুখে পড়বে। এছাড়াও রাশিয়ার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সিরিয়ায় কয়েকটি সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তুরস্ক। যেখানে তারা যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও কুর্দিদের বিরুদ্ধে একসাথে কাজ করে যাচ্ছেন। আর তাই এ সফরে এরদোগানের প্রচেষ্টা হচ্ছে দুই প্রতিবেশীকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরিয়ে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা।
ইউক্রেনকে তার ন্যাটো মিত্রদের থেকে বিভাজিত করতে ক্রেমলিনের সবচেয়ে বড় অস্ত্র কী হতে পারে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। বিশ্লেষকদের ধারণা প্রাকৃতিক গ্যাসকেই এক্ষেত্রে বড় অস্ত্র বানাতে পারে মস্কো।
রাশিয়া তাদের গ্যাস সরবরাহ ইউরোপে বন্ধ করে দিলে বিপাকে পড়বে গোটা মহাদেশ। রাশিয়ার গ্যাসলাইন ইউক্রেনের ওপর দিয়েই ইউরোপে গেছে। ফলে জ্বালানির উৎস নিয়ে গোটা মহাদেশেই তৈরি হয়েছে এক ধরনের চাপা আতঙ্ক।