যে কোনো সময় আয়ের পথ বন্ধ হওয়ার আশংকায় রয়েছে বরিশালের ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। সন্তানের লেখাপড়া এবং সংসার পরিবার নিয়ে দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। এ ব্যাপারে সরকারকে নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সুশীল সমাজ।
বরিশাল শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালান প্রতিবন্ধী সোহাগ হাওলাদার। প্রতিদিনের আয় দিয়ে বাসা ভাড়া, সংসার ও দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালান। হঠাৎ অটোরিকশা বন্ধের খবরে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তিনি। একমাত্র আয়ের পথ বন্ধ হলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়বে। এই খবরে ঋণের কিস্তি তুলতে সংস্থাগুলোও চাপ বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
করোনাকালে চাকরি হারিয়ে ঋণ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনেছেন অনেকে। দিনের রোজগার থেকে কিস্তি পরিশোধ করেন, তারা।
নতুন নক্সার মাধ্যমে অটোরিকশাকে নিরাপদ যানবাহন হিসেবে সচল রাখা এবং মহাসড়কের পাশে পৃথক লেনের দাবি জানিয়েছে সংগ্রাম পরিষদ।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়ের পথ সচল রাখতে সরকারকে নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, সুশীল সমাজ।
সারাদেশে অটোচালক থেকে শুরু করে গ্যারেজ মালিক, মেকানিক, পার্সের দোকানসহ প্রায় ৫০ লাখ মানুষ জড়িয়ে রয়েছে এর সাথে।