কয়েকদিন পরেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূঁজা
- আপডেট সময় : ০৩:০৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
আর কয়েকদিন পরেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূঁজা। করোনার কারণে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করাসহ ২৬টি নির্দেশনা মেনে সীমিত আকারে উদযাপিত হবে এবারের পূঁজা। কুমিল্লায় সাত’শ ৩৯টি মন্ডপে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। এদিকে, মেহেরপুরে সব ধর্মের মানুষ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গোৎসবে অংশ নেবে বলে আশা করছে, সনাতন ধর্মালম্বীরা। এছাড়া, যশোরের শার্শা ও বেনাপোলে এবার ২৬টি মন্ডপে দুর্গা পূঁজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে পূঁজা উদযাপনের জন্য দর্শনার্থী ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন, আয়োজকরা।
দুর্গা পূঁজা উপলক্ষে এখন ব্যস্ত সময় কাটছে প্রতিমা শিল্পীদের। সীমিত আকারে হলেও, দুর্গোৎসবে মেতে উঠতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ভক্ত-পূঁজারিরা।
দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন, মন্দির কমিটির সভাপতি। ভক্তদের মতে, করুনাময়ী দুর্গা দেবী তার ঐশ্বরিক ক্ষমতায় করোনাকে বিনাশ করবে।
এদিকে, মেহেরপুরে কারিগরের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে দেবী দুর্গা, স্বরসতী, লক্ষ্মী, গনেশ, কার্তিকসহ বিভিন্ন প্রতিমা। এবার জেলায় ৪১টি মন্ডপে পূঁজা উদযাপন হবে।
করোনার কারনে এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পূঁজার আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবে অনেকে। নতুন জামা-কাপড় কেনা, মন্ডপে-মন্ডপে ঘুরে বেড়ানো থেকে বিরত থাকবে বলে জানায়,কেউ কেউ।
এবার পুরুষ উত্তম মাসের কারনে পূঁজা একটু পিছিয়ে গেছে বলে জানান, এই পুরোহিত। পূঁজা উদযাপনে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে মনে করেন, আয়োজকরা।
এবার যশোরের শার্শা থানায় ১৭টি ও বেনাপোলে নয়টি দৃষ্টিনন্দন পূঁজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে, কোনো আলোকসজ্জা, মেলা, আরতি প্রতিযোগিতা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে না। মহামারির কারণে, সরকারকে আর্থিক সহযোগিতা বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে, পূঁজা উদযাপন কমিটি।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত টহলের মাধ্যমে মন্ডপগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানায়, পুলিশ। ২২ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে দুর্গোৎসব। এবার দেবী আসবেন দোলায় চড়ে, যাবেন গজে করে। তার আগমন উপলক্ষে পৃথিবী থেকে করোনা দুর হবে বলে আশা করে পূঁজারিরা।