শেষ মুহুর্তে আপনজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে করোনা ঝুঁকি নিয়ে রাজধানী ছেড়েছেন ঘর মুখো মানুষ। যাত্রীরা নগরীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালের সামনে থেকে হালকা যানবাহনে করে নাড়ীর টানে বাড়ী ফিরছেন।গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। আবার দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কাঙ্খিত যাত্রী না পেয়ে হতাশ হালকা বাহনের চালকরা।
রাজধানীর সবচে বড় বাস টার্মিনাল গাবতলী। দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা এখান থেকেই চলাচল করেন। কিন্তু করোনা ঝুঁকিতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায়, টার্মিনালে বিরাজ করছে সুনশান নীরবতা।
নীরব টার্মিনালেল সামনে সরব হালকা যানবাহনের চালক ও শ্রমিকরা। রাজধানী ছাড়তে পুলিশি বিধিনিষেধ তুলে দেয়ার পরই তাদের পোয়া বারো। দূর গন্তব্যের যাত্রী পরিবহনে সচেষ্ট তারা।
তবে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া হাঁকছেন তারা। এতে বিপাকে পড়েন দুরপাল্লার ঘরমুখো যাত্রীরা।
চালকরা বলছেন, এতোদিন বেকার থাকার পর অনেক আশা নিয়ে সড়কে এলেও কাঙ্খিত যাত্রী পাচ্ছেন না তারা।
রাইডে চড়েও গন্তব্যে যেতে চান অনেকে। তবে গণপরিবহণের কিছু শ্রমিক ঘরমুখো যাত্রীদের রাইডের কাছে ভিড়তে দেয় না।
অভিযোগের পাল্টা জবাব দেন শ্রমিকরা। ব্যক্তিগত যান চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিল হলেও, গণপরিবহন বন্ধ রাখায় কষ্টের পাশপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
এই বিতর্কের মাঝেও থেমে নেই ঘরমুখো মানুষের ছুটে চলা।