সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আনিসুল করিমের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন হয়েছে। নিহত আনিসুল করিম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। তিনি ৩১তম বিসিএসে প্রথম হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। গাজীপুরের কাপাসিয়ার সন্তান আনিসুলকে তার নিজ এলাকায় দাফন করা হয়েছে।
আনিসুল করিম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। সর্বশেষ তিনি বরিশাল মহানগর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মানসিক সমস্যার কারণে বেশকিছু দিন তিনি ঢাকায় পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন। সোমবার সকালে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে। চিকিৎসা নিতে স্বজনরা যখন কাউন্টারে ভর্তির ফরম পূরণ করছিলেন, তখন কয়েকজন কর্মচারী তাঁকে দোতলায় নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর জানানো হয় আনিসুল অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন।
এরপর তারা তাঁকে দ্রুত হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা ফাইজুদ্দিন আহমেদ আদাবর থানায় মামলা করেছেন। সিসিটিভির যে ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যায় তার ওপর নির্যাতনের সুস্পষ্ট আলামত।
তার মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীর নগরে। হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবী করে মানববন্ধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, আনিসুল করিমের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। এরই মধ্যে তার দাফন শেষ হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। এর আগে স্থানীয় ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে তার প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আজাদ মিয়াসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অংশ নেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ। পরে গাজীপুর সিটির কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।