০৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

আজ ২৫ মার্চ; জাতীয় গণহত্যা দিবস

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০২০
  • / ১৫১৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ঢাকাসহ সারাদেশে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা চালায়। সে রাতের বীভৎসতা এতটাই নির্মম যে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞের অতীত সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে এটি হয়ে উঠেছে বিশ্বের ভয়ালতম গণহত্যার রাত। মহাকালের স্বাভাবিকতায় আবারো ফিরে এসেছে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যার দিনটি। ২০১৭ থেকে ২৫ মার্চকে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করা হলেও এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। তবে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বানী দিয়েছন।

ত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পরেও বাঙালীদের হাতে ক্ষমতা না দিতে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠি শুরু করে নানা কূটকৌশল।
এমন প্রেক্ষাপটে একাত্তেরর ৭ মার্চ ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানে, যা বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, এক জনসমুদ্রে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো। পাকিস্তানী শাসকরা গোপনে প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙ্গালী নিধনের। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে ঘুমন্ত ঢাকাবাসির উপর চালানো হয়, ইতিহাসের নির্মম ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ।

পাকিস্তানী সেনাদের সব আক্রোশ ছিল ছাত্র সমাজের উপর। সেই কাল রাতের মুল টার্গেট ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মেশিন গানের গুলি, ট্যাংক-মর্টারের গোলা আর আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে ওঠে বিভীষিকাময়।জগন্নাথহলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে রাতের অন্ধাকারে চালানো হয় হত্যাযজ্ঞ। লাইনে দাঁড় করিয়ে ছাত্রদের হত্যা করে পাকিস্থানী সেনারা। হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত। ইপিআর ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনেও চালানো হয় নিমর্ম হত্যাযজ্ঞ।পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর ২৫ মার্চ রাতের গণহত্যার নির্মমতা মানবসভ্যতার ইতিহাসে আর নেই। ধর্মের ভিত্তিতে যে রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে নিজ দেশের ও নিজ ধর্মের ঘুমন্ত মানুষদের হত্যার এমন নজির আর নেই।

চারিদিকে রক্ত আর রক্ত, শহীদদের সারি সারি লাশ। মধ্যরাতে পরিচালিত হয় পাকবাহিনীর স্পর্শকাতর অভিযান ‘অপারেশন বিগবার্ড’। সেই রাতে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, বাঙালির শতবর্ষের দাসত্বমুক্তির অগ্রনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।ইতিহাসের জঘন্যতম এই গণহত্যার রাতে, নিরস্ত্র বাঙালির রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন মৃত্যুর মিছিলকে শত থেকে হাজার আর হাজার থেকে লাখে রূপান্তর করছিল, ঠিক তখনি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা বাঙালি জাতিকে দিয়েছিল জনযুদ্ধের নির্দেশনা। আর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই ৯ মাস পর বিশ্বমানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন একটি দেশ- ‘বাংলাদেশ’।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আজ ২৫ মার্চ; জাতীয় গণহত্যা দিবস

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০২০

আজ ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ঢাকাসহ সারাদেশে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা চালায়। সে রাতের বীভৎসতা এতটাই নির্মম যে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞের অতীত সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে এটি হয়ে উঠেছে বিশ্বের ভয়ালতম গণহত্যার রাত। মহাকালের স্বাভাবিকতায় আবারো ফিরে এসেছে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যার দিনটি। ২০১৭ থেকে ২৫ মার্চকে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করা হলেও এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। তবে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বানী দিয়েছন।

ত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পরেও বাঙালীদের হাতে ক্ষমতা না দিতে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠি শুরু করে নানা কূটকৌশল।
এমন প্রেক্ষাপটে একাত্তেরর ৭ মার্চ ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানে, যা বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, এক জনসমুদ্রে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো। পাকিস্তানী শাসকরা গোপনে প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙ্গালী নিধনের। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে ঘুমন্ত ঢাকাবাসির উপর চালানো হয়, ইতিহাসের নির্মম ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ।

পাকিস্তানী সেনাদের সব আক্রোশ ছিল ছাত্র সমাজের উপর। সেই কাল রাতের মুল টার্গেট ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মেশিন গানের গুলি, ট্যাংক-মর্টারের গোলা আর আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে ওঠে বিভীষিকাময়।জগন্নাথহলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে রাতের অন্ধাকারে চালানো হয় হত্যাযজ্ঞ। লাইনে দাঁড় করিয়ে ছাত্রদের হত্যা করে পাকিস্থানী সেনারা। হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত। ইপিআর ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনেও চালানো হয় নিমর্ম হত্যাযজ্ঞ।পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর ২৫ মার্চ রাতের গণহত্যার নির্মমতা মানবসভ্যতার ইতিহাসে আর নেই। ধর্মের ভিত্তিতে যে রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে নিজ দেশের ও নিজ ধর্মের ঘুমন্ত মানুষদের হত্যার এমন নজির আর নেই।

চারিদিকে রক্ত আর রক্ত, শহীদদের সারি সারি লাশ। মধ্যরাতে পরিচালিত হয় পাকবাহিনীর স্পর্শকাতর অভিযান ‘অপারেশন বিগবার্ড’। সেই রাতে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, বাঙালির শতবর্ষের দাসত্বমুক্তির অগ্রনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।ইতিহাসের জঘন্যতম এই গণহত্যার রাতে, নিরস্ত্র বাঙালির রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন মৃত্যুর মিছিলকে শত থেকে হাজার আর হাজার থেকে লাখে রূপান্তর করছিল, ঠিক তখনি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা বাঙালি জাতিকে দিয়েছিল জনযুদ্ধের নির্দেশনা। আর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই ৯ মাস পর বিশ্বমানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন একটি দেশ- ‘বাংলাদেশ’।