০৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আজ শেখ কামালের ৭১ তম জন্মবার্ষিকী

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫১৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সঙ্গীত, খেলা, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা থেকে শুরু করে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার চেষ্টায় আজীবন কাজ করে গেছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ তনয় শেখ কামাল। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালরাতে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সবার আগে নির্মম ভাবে খুন হন শেখ কামাল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, তরুন সংগঠন, লেখক, সেতারবাদক, নাট্যব্যক্তিত্ব, খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক যে নামেই ডাকা হোক না কেন প্রথমেই আসে শেখ কামালের নাম । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের বড় ছেলে শেখ কামাল গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে শেখ কামাল দ্বিতীয়।

বিএএফ শাহীন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ও সংগঠক হিসেবে ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শেখ কামাল সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে হাতিয়ার তুলে নিয়ে দেশমাতৃকার মুক্তির যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। বিজয় অর্জনের পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া দেশ পুনর্গঠনে নিজের অসামান্য মেধা ও অক্লান্ত কর্মক্ষমতা নিয়ে জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে ঝাঁপিয়ে পড়েন শেখ কামাল। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান। জাতির পিতা, একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হওয়া সত্ত্বেও তার মধ্যে কখনো অহঙ্কারের লেশ দেখতে পাননি সহযোদ্ধারা।

স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে শেখ কামাল অগ্রসেনানী। স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠা করেন নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ এবং আধুনিক সঙ্গীত সংগঠন ‘স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী’। আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি দেশের ক্রীড়াজগতে স্মরণীয় হয়ে আছেন। শেখ কামালের নবপরিণীতা বধূ সুলতানা খুকু ছিলেন  প্রতিভাবান অ্যাথলেট। বিয়ের অল্প কিছুদিন পর ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫-এ ঘাতকের হাতে পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাতা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যের সঙ্গে নির্মম মৃত্যুকে বরণ করতে হয় শেখ কামালকে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আজ শেখ কামালের ৭১ তম জন্মবার্ষিকী

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অগাস্ট ২০২০

সঙ্গীত, খেলা, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা থেকে শুরু করে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার চেষ্টায় আজীবন কাজ করে গেছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ তনয় শেখ কামাল। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালরাতে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সবার আগে নির্মম ভাবে খুন হন শেখ কামাল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, তরুন সংগঠন, লেখক, সেতারবাদক, নাট্যব্যক্তিত্ব, খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক যে নামেই ডাকা হোক না কেন প্রথমেই আসে শেখ কামালের নাম । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের বড় ছেলে শেখ কামাল গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে শেখ কামাল দ্বিতীয়।

বিএএফ শাহীন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ও সংগঠক হিসেবে ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শেখ কামাল সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে হাতিয়ার তুলে নিয়ে দেশমাতৃকার মুক্তির যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। বিজয় অর্জনের পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া দেশ পুনর্গঠনে নিজের অসামান্য মেধা ও অক্লান্ত কর্মক্ষমতা নিয়ে জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে ঝাঁপিয়ে পড়েন শেখ কামাল। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান। জাতির পিতা, একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হওয়া সত্ত্বেও তার মধ্যে কখনো অহঙ্কারের লেশ দেখতে পাননি সহযোদ্ধারা।

স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে শেখ কামাল অগ্রসেনানী। স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠা করেন নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ এবং আধুনিক সঙ্গীত সংগঠন ‘স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী’। আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি দেশের ক্রীড়াজগতে স্মরণীয় হয়ে আছেন। শেখ কামালের নবপরিণীতা বধূ সুলতানা খুকু ছিলেন  প্রতিভাবান অ্যাথলেট। বিয়ের অল্প কিছুদিন পর ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫-এ ঘাতকের হাতে পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাতা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যের সঙ্গে নির্মম মৃত্যুকে বরণ করতে হয় শেখ কামালকে।