আজকের স্মার্ট শিশুরাই গড়বে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ : পলক
- আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৮৭ বার পড়া হয়েছে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে শুভ উদ্বোধন হলো শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের জন্য প্রথম বাংলাদেশী লার্নিং প্ল্যাটফর্ম “হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস” (www.hasinaandfriends.gov.bd)-এর।
এর আগে শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের জন্য শতভাগ বাংলাদেশী কোনো লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ছিলো না। “হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস”-ই বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব লার্নিং প্ল্যাটফর্ম।
জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিশু কিশোরের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় নিজের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া গিফট হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস। পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সংযোগ এই চারটি বিষয়ে ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের জন্য আলাদা আলাদা শিক্ষণীয় গল্প ও গেইমের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।
বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও উন্নতির ধারাবাহিকতা, মূল্যবোধ, ডিজিটাল এই যুগে কেমন হবে আগামী প্রজন্মের পথচলা; প্রতিদিন এই প্ল্যাটফর্মে গল্প আর গেইম খেলার মাধ্যমে সেইসব রপ্ত করতে পারবে ভবিষ্যতের সারথিরা। “খেলি শিখি প্রতিদিন” স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গল্প শুনে আর গেইম খেলে প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার প্ল্যাটফর্ম “হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস।’’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্মেদ পলক, এমপি সবার সাথে হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস প্ল্যাটফর্ম-এর পরিচয় করিয়ে দেন এবং এর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আগামী প্রজন্মের সুষ্ঠু মেধার বিকাশে এই প্ল্যাটফর্ম কীভাবে ভূমিকা রাখবে সেই প্রসঙ্গে জুনায়েদ আহ্মেদ পলক বলেন, স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্বটা এখন হাতের মুঠোয়, এটিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নানা বিষয়ে জানতে পারছি। এই শেখার প্রক্রিয়া আনন্দময় হওয়া প্রয়োজন, যাতে খেলতে খেলতে শেখা যায়। ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ শিশু, কিশোর–কিশোরীদের জন্য তেমনি একটি প্ল্যাটফর্ম। এটির মাধ্যমে তারা জানতে পারবে কীভাবে গাছের যত্ন নিতে হবে, কীভাবে পরিবেশ ও জলবায়ুকে বাঁচাতে হবে। এ বিষয়গুলো সহজভাবে বুঝানোর জন্য আমরা গেইম ডিজাইন করেছি। এতে শিশু, কিশোর–কিশোরীরা খেলতে খেলতে শিখতে পারবে ও গাইতে গাইতে জ্ঞান অর্জন করবে।
তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশের একটি ভিশন আমাদের দিয়েছেন। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য আমাদের দরকার স্মার্ট সিটিজেন। আজকের শিশুরাই স্মার্ট সিটিজেন হয়ে আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। সে কারণে আমরা আইসিটি বিভাগ থেকে শেখ হাসিনার এই উপহারটি আজকে আমাদের দেশের কোটি কোটি শিশু, কিশোর–কিশোরীদের কাছে উন্মুক্ত করছি।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব এন এম জিয়াউল আলম, পিএএ এ প্ল্যাটফর্ম নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন।
জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় এবং হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস এর থিম সং ও অ্যানিমেটেড ভিডিও প্রদর্শন করা হয় এবং সহজ একটি টিউটোরিয়াল ভিডিওর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তা শিখিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের চিত্ত বিনোদনের জন্য পাপেট শো, ম্যাজিক শো, প্ল্যাঙ্কো বোর্ডের মতো কিছু গেইমের ব্যবস্থা ছিল।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের কেক কাটা ও শিশু কিশোরদের মাঝে আকর্ষণীয় গিফট এবং মজাদার খাবার বিতরণ। “খেলি শিখি প্রতিদিন” এই স্লোগানে আমাদের আগামী প্রজন্ম খেলতে খেলতে শিখে যাক সবকিছু এই কামনায় শেষ হয় অনুষ্ঠানটি।