সুস্বাদু ও মিষ্টি আঙ্গুর চাষ করে সফলতা পেয়েছেন ঝিনাইদহের প্রান্তিক কৃষক আব্দুর রশিদ। ১০ কাঠা জমিতে রোপন করা ৭৫টি আঙ্গুর গাছ থেকে ফলনও ভালো পেয়েছেন তিনি। কৃষি বিভাগ বলছে, আঙ্গুর আবাদে নানা সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যোগীহুদার কৃষক আব্দুর রশিদের বাগানে গেলে দেখা মিলবে, বাঁশের মাচায় ঝুলছে থোকা থোকা রসালো আঙ্গুর। আট মাস আগে শখের বশে দশ কাঠা জমিতে আঙ্গুর চাষ শুরু করেন তিনি। ভারত ও ইতালি থেকে সংগ্রহ করেন ছমছম, সুপার সনিকা, কালো জাতসহ কয়েক জাতের ৭৫টি আঙুর চারা। রোপনের আট মাসের মধ্যে পেয়েছেন ফলন। দৃষ্টিনন্দন ও সুস্বাদু হওয়ায় আঙ্গুর বাগান দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে অনেকে।
এর আবাদ ছড়িয়ে দিতে অন্য কৃষকদেরও সহযোগিতার আশ্বাস দেন আব্দুর রশিদ। আঙ্গুর উৎপাদনে জৈব বালাইনাশক পরামর্শসহ নানা সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
প্রতি গাছে ১০ থেকে ১৫ কেজি হারে ফলন হয়েছে। পাইকারি হিসেবে বিক্রি হয়েছে দু’শ থেকে আড়াই’শ টাকা কেজি দরে। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে প্রতি গাছ থেকে চার মনের বেশি আঙ্গুর পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।