এবার উৎসব সামগ্রী বুকিং করার অভিযোগে দেশের শীর্ষ স্থানীয় কুরিয়ার ও পার্শ্বেল সার্ভিস এসএ পরিবহনের লাকশাম শাখার ম্যানেজারকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকের লোকজন। এর আগে দিনভর প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অফিসে গিয়ে বিভিন্ন শাখা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বুকিং হওয়া উৎসব সামগ্রীর পার্শ্বেল নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। এসএ পরিবহনের দাবি সুনির্দিষ্ট চালান ও গ্রাহকের ডিকলিয়ারেশনের ওপর ভিত্তি করে প্রেরক ও প্রাপকের বিস্তারিত তথ্য নিয়েই পার্শ্বেলগুলো বুকিং করা হলেও অনৈতিকভাবে তাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। আর সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, উৎসব সামগ্রীর মতো পণ্য উদ্ধারের ঘটনায় কুরিয়ার সার্ভিস বা পরিবহণ প্রতিষ্ঠানকে হয়রানী করা ক্ষমতার অপব্যবহার মাত্র।
শনিবার রাতে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের চিত্র এটি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনটি স্মরনীয় করে রাখতে আতশবাজি পুড়িয়ে এমন জমকালো উৎসবের আয়োজন করেছিলো জেলা প্রশাসন। বিভিন্ন দিবস বা দেশের বড় কোন অর্জনে হর-হামেশায় এমন উৎসবের আয়োজন করা হয় দেশজুড়ে।
নগরীর বক্সিরহাট, গোলাম রসুল মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপনিবিতানে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে এসব উৎসব সামগ্রী। অথচ এই পণ্য পরিবহনের কারণে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে হয়রানী করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার দেশের শীর্ষ স্থানীয় পার্শ্বেল ও কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান এসএ পরিবহনের কাকরাইল অফিসে কথিত অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। দেশের বিভিন্ন অফিস থেকে গ্রাহকের সরবরাহকৃত চালান মুলে বুকিং করা উৎসব সামগ্রীর বেশ কয়েকটি পার্শেল নিয়ে যায় তারা।
রাতে এসএ পরিবহনের লাকশাম শাখায় গিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার ইউসুফ আলীকে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকের লোকজন। এতে ক্ষোভ জানান, এসএ পরিবহনের জিএম।
সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, রাষ্ট্রের একটি সুনির্দিষ্ট আইন মেনেই কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে। শুধুমাত্র পার্শ্বেল বুকিং করার অভিযোগে কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের হয়রানী করা ক্ষমতার অপব্যবহার।
এসএ পরিবহনের দাবি, উৎসব সামগ্রী বুকিং করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় কোন দিক-নির্দেশনা তাদের কাছে নেই। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হঠাৎ এমন আচরণে বিষ্মিত তারাও।