আইএমএফের সময়কালে বাংলাদেশের বাজেট এতিম হয়ে পড়েছে। আর আইএমএফ-ই হয়ে উঠেছে এই বাজেটের পালক পিতা। জাতীয় বাজেট নিয়ে রাজধানীতে এক নীতি সংলাপে এ অভিমত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, বাজেটে আইএমএফের শর্তের প্রতিফলন ঘটলে দেশে ধনী-গরীবের বৈষম্য আরো বাড়বে। চাপে পড়বে নিম্ন মধ্যবিত্ত। জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান জানান, বাজেটের উপর আইএমএফ-এর কোন প্রভাব নেই। ঋণের বিপরীতে শর্ত নয় পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।
আসছে বাজেট, বাড়ছে উদ্বেগ। একদিকে মূল্যস্ফীতিতে জেরবার অর্থনীতি। অন্যদিকে ডলার সংকটে সংকুচিত আমদানী। বাড়ছে না রপ্তানী ওকর্মসংস্থান। এমন অবস্থায় আগামী পয়লা জুনে ঘোষিত হতে যাচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট। এ নিয়ে রাজধানীতে সিপিডি ও নাগরিক সমাজের আয়োজনে এই নীতি-সংলাপ।
সংলাপে বলা হয়, রিজার্ভ সংকটে বাংলাদেশ সম্প্রতি আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের অনুমোদন পেয়েছে। বিপরীতে রয়েছে বেশকিছু শর্ত। এসব শর্তের প্রতিফলন বাজেটে পড়লে বৈষম্য আরো বাড়বে বলে মনে করের অর্থনীতিবিদরা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর আদায়ের পরিধি বাড়িয়ে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজে লাগাতে বলেন সিপিডির আরেক ফেলো। সভায় বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, সরকার অর্থনীতির গতি কমিয়ে ডলার বাঁচানোর চেষ্টা করছে, যা সংকট আরো বাড়াবে।
তবে, সিপিডির বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাজেটের জন্যে আইএমএফের কাছে সরকার নির্ভরশীল নয়। পরিকল্পনামন্ত্রী আরো জানান, সংকট মোকাবিলায় মূল্যস্ফীতি কমাতে কাজ করছে সরকার। তবে দেশে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে বড়বড় দালানকোঠা নির্মাণের সংস্কৃতি থেকে বের হবার পরামর্শ দেন তিনি।