প্রকৃতিতে চলছে জ্যৈষ্ঠের অস্বাভাবিক খরতাপ। এতে নাকাল হয়ে পড়েছে রাজধানীসহ সারাদেশের জনজীবন। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ৫/৬ দিনেও দেশে তাপমাত্রা কমা বা বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী ৩ দিনের মধ্যে বর্ষাবাহী দক্ষিণ-পশ্চিমা মৌসুমী বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। পরের সপ্তাহে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হবে বৃষ্টি, কমবে তাপমাত্রা।
প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে দেশ। ঘরে কিংবা বাইরে তীব্র গরমে অস্থির জনজীবন। মে মাসের শেষ দিক থেকে শুরু হয়েছে দুর্বিসহ গরম। তা এখনো চলছে। দেশের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে বৃষ্টির জন্য মানুষ আকাশপানে তাকিয়ে থাকলেও দেখা নেই স্বস্তির বৃষ্টির। এতে খেটে খাওয়া মানুষ সীমাহীন কষ্ট ভোগ করছেন। তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করেই অনেকে চালাচ্ছেন রিকশা,ভ্যানগাড়ি।
যারা ঘরের বাইরে বেড়িয়েছেন তাদের কষ্টের সীমা নেই। মানুষের সেবা দিতে গরম উপেক্ষা করেই রাস্তায় তৎপর ট্রাফিস পুলিশরা। আবহাওয়ার অধিদপ্তরে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, দাবদাহের কারণে দেশের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হলেও, সামগ্রিক তাপমাত্রা কমছে না। তবে আগামী ১২ জুনের পর তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জুন মাসের তাপমাত্রা বিবেচনায় এটি ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১২ সালের জুন মাসে চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।